Bilkis Bano Case Convict Gets 10-Day Parole To Attend Nephew's Wedding

Bilkis Bano: অজুহাত ভাগ্নের বিয়ে! গুজরাত হাইকোর্টের নির্দেশে প্যারোলে মুক্ত বিলকিসের আরও এক ধর্ষক

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

বিলকিসের ধর্ষকদের নিয়ে নাটক অব্যাহত। ২০২২ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসবে ১১ জন দোষীকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। মাসখানেক আগে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) রায়ের পর জেলে ফেরানো হয়েছিল ধর্ষকদের। এবার তাঁদের একজনকে প্যারোলে মুক্তি দিল গুজরাট হাই কোর্ট (Gujarat High Court)। ভাগ্নের বিয়েতে যোগ দেবেন বলে আবেদন করেছিলেন বিলকিস মামলার অন্যতম দোষী রমেশ চন্দনা। আগামী ৫ মার্চ থেকে ১০ দিনের জন্য প্যরোল মঞ্জুর করেছে আদালত। শীর্ষ আদালতের নির্দেশে যাঁদের জেলে ফেরানো হল, তাঁদেরই একজনের প্যারোল মঞ্জুর করা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে।

এর আগে, সেই মামলার অন্য এক আসামি, প্রদীপ মোধিয়ার প্যারোলের আবেদন মঞ্জুর করেছিল গুজরাত হাই কোর্ট। ৭ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্যারোলে মুক্তি পেয়েছিলেন প্রদীপ। সংবাদমাধ্যম ‘এনডিটিভি’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, সুপ্রিম কোর্টের কাছে গুজরাত সরকারের তরফে জমা দেওয়া হলফনামা বলছে, ২০০৮ সালে কারাবাস শুরুর পর থেকে ১,১৯৮ দিনের জন্য প্যারোলে মুক্ত ছিলেন রমেশ। এ ছাড়াও ২০২২ সালের ১৫ অগস্ট ৭৬তম স্বাধীনতা দিবসে খুন এবং গণধর্ষণের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ১১ জনকে জেলে ‘ভাল আচরণ’ করার যুক্তি দিয়ে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় গুজরাত সরকার। তার আগে, মুক্তির জন্য আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন ধর্ষণের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ওই অপরাধীরা। বিজেপি শাসিত গুজরাত সরকার ১১ অপরাধীর মুক্তির পক্ষে সওয়াল করে। এর পরই ১১ জনকে ছাড়ার সিদ্ধান্তের কথা জানায় আদালত। সুপ্রিম কোর্টের ছাড়পত্রও মিলেছিল।

জেলমুক্ত দোষীদের গেরুয়া শিবিরের তরফে সংবর্ধনা দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। যদিও লড়াই ছাড়েননি বিলকিস। তিনি গুজরাট সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন।   গত ৮ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট জানায়, গুজরাত সরকারের ওই সিদ্ধান্ত এক্তিয়ার-বহির্ভূত। বিচারপতি বিভি নাগরত্ন এবং বিচারপতি উজ্জ্বল ভুয়ানের পর্যবেক্ষণ ছিল, জালিয়াতি করে ধর্ষকদের মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। কারণ ধর্ষকদের মুক্তি দেওয়া সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার এক্তিয়ারই ছিল না গুজরাত সরকারের। একই সঙ্গে শীর্ষ আদালত নির্দেশ দেয় যে, খুন এবং ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত হওয়া ১১ জনকেই দু’সপ্তাহের মধ্যে জেলে ফিরে যেতে হবে। আত্মসমর্পণ করতে হবে তাঁদের। এর পর ২১ জানুয়ারি রাতে তাঁরা কারাগারে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন।

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest