Is Kanhaiya Kumar joining the Congress? He met Rahul Gandhi

কানহাইয়া কুমার কি তবে যোগ দিচ্ছেন কংগ্রেসে ? দেখা করলেন রাহুল গান্ধীর সঙ্গে

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

সিপিআই ছেড়ে এবার কংগ্রেসের পথে জেএনইউয়ের প্রাক্তন ছাত্রনেতা কানহাইয়া কুমার (Kanhaiya Kumar)। বেশ কিছুদিন ধরেই রাজনৈতিক মহলে কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল। রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করে সেই জল্পনা আরও উসকে দিলেন কানহাইয়া। সূত্রের খবর, খুব শীঘ্রই লালঝান্ডা ছেড়ে কংগ্রেসের তিরঙ্গা ধরবেন তরুণ ‘বামপন্থী’ নেতা। কানহাইয়ার এই কংগ্রেসে (Congress) যোগদানের নেপথ্যে নাকি রয়েছেন রাজনৈতিক কৌশলী প্রশান্ত কিশোর।

জানা গিয়েছে, গত মঙ্গলবার রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেন কানহাইয়া কুমার। সেখানেই দুই নেতার মধ্যে কানহাইয়ার কংগ্রেসে যোগদানের বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে বলে খবর। এ প্রসঙ্গে CPI-এর সাধারণ সম্পাদক ডি রাজা বলেন, ‘আমি এই বিষয়ে কিছু বলতে পারব না। একটি জল্পনা রটেছে মাত্র। এটুকু বলতে পারি, কানহাইয়া চলতি মাসের শুরুতেই দলীয় বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন। দলের অন্য কর্মসূচিতেও যোগ দিয়েছিলেন। পার্টি নেতাদের সঙ্গেও তাঁর নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে।’

কংগ্রেসের এক শীর্ষ নেতা সংবাদসংস্থাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, বিহার বিধানসভা নির্বাচনের সময় থেকেই কানহাইয়ার সঙ্গে এ বিষয়ে কথাবর্তা চলছিল। কিন্তু, কিছু কারণবশত কোনও ভাল ফল পাওয়া যাচ্ছিল না। তরুণ এই নেতার সঙ্গে আরও এক দফা নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। কংগ্রেস নেতার এহেন মন্তব্যের পর পরই রাহুল গান্ধীর সঙ্গে CPI নেতার সাক্ষাৎ হয় বলে খবর। আর এরপর থেকেই ই কানহাইয়া কুমারের কংগ্রেসে যোগদান নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। বামপন্থী এই নেতার যোগদানের নেপথ্যে প্রশান্ত কিশোরের কৌশল রয়েছে বলেও মনে করছে রাজনৈতিক মহল। যদিও কানহাইয়ার প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

জেএনইউয়ের ছাত্র সংসদের সভাপতি থাকাকালীন প্রথম সংবাদ শিরোনামে আসেন কানহাইয়া। ছাত্রজীবন শেষে তিনি যোগ দেন কমিউনিস্ট পার্টিতে। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে বিহারের বেগুসরাই থেকে সিপিআই প্রতীকে প্রার্থীও হন তিনি। তবে, তেমন সুবিধা করে উঠতে পারেননি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের (Girirraj Singh) কাছে বিরাট ব্যবধানে পরাজিত হন।

তারপরও অবশ্য বিহার এবং দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বামপন্থীরা তাঁকে তারকা প্রচারক হিসাবে ব্যবহার করেছে। সিপিআইয়ের কেন্দ্রীয় কমিটিতে জায়গাও পেয়েছেন তিনি। তবে, সম্প্রতি দলের সঙ্গে তাঁর দুরত্ব বেড়েছিল। সিনিয়র নেতাদের কেউ কেউ নাকি কানহাইয়ার আচরণ এবং কাজের পদ্ধতিতে খুশি নন। কিছুদিন আগে ‘উদ্ধত’ আচরণের জন্য দল তাঁকে সতর্কও করে। তারপর থেকেই দূরত্ব বাড়ছিল।

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest