Rape cases going up as some dresses worn by women 'excite' men: Karnataka BJP MLA's comment

মহিলাদের উত্তেজক পোশাকে বাড়ছে ধর্ষণ, হিজাব বিতর্কের আবহে মন্তব্য BJP বিধায়কের

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

পোশাকের কারণেই আসলে ধর্ষণ (Rape) বাড়ছে। মহিলারা এমন ধরনের পোশাক পরছেন, যা দেখে পুরুষদের ‘উত্তেজনা’ বেড়ে যায়। এমনই বিতর্কিত মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছেন কর্ণাটকের (Karnataka) BJP বিধায়ক এম পি রেণুকাচার্য। এমনিতেই হিজাব নিয়ে ক্রমেই বিতর্কের পারদ চড়ছে কর্ণাটকে। এর মধ্যেই সেখানকার এক বিজেপি বিধায়কের এমন মন্তব্যকে কেন্দ্র করে পোশাক বিতর্ক আরও ঘনীভূত হল।

কর্ণাটকের বিধায়ক এমপি রেণুকাচার্য এদিন দাবি করেন, নারীদের ধর্ষণের পিছনে এমন সব পোশাক দায়ী যা পুরুষদের উত্তেজিত করে। রেণুকাচার্যের দাবি, মেয়েদের স্কুল, কলেজে এমন ইউনিফর্ম পরা উচিত যা তাদের পুরো শরীর ঢেকে দেয়। উল্লেখ্য, হোনালি বিধায়ক হিজাব নিয়ে কংগ্রেস নেতা প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর টুইটের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে এই বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন।

এর আগে টুইট করে প্রিয়াঙ্কা দাবি করেছিলেন, বিকিনি, জিনস, ওড়না, হিজাব যা খুশি পরতে পারেন মহিলারা। বিজেপিকে আক্রমণ শানিয়ে প্রিয়াঙ্কা টুইটে লেখেন, ‘বিকিনি হোক, ওড়না হোক, জিনস হোক বা হিজাব হোক, তিনি কী পরতে চান তার সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার একজন মহিলারই আছে। এই অধিকার ভারতীয় সংবিধানে নিশ্চিত করা হয়েছে। নারীদের হেনস্থা করা বন্ধ করুন।’

আরও পড়ুন: কাশ্মীরের আন্দোলনকে সমর্থন করে বিপাকে Hyundai, তলব কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতকে

এর জবাবে বিজেপি বিধায়ক রেণুকাচার্য বলেন, ‘প্রিয়াঙ্কা গান্ধী একজন নারী, একজন কংগ্রেস নেতা… আমরা নারীদের মৌলিক অধিকার (হিজাব ইস্যুতে) নিয়ে প্রশ্ন তুলছি না। কেরল এবং বম্বে হাই কোর্ট বলেছে যে স্কুল এবং কলেজগুলিতে ইউনিফর্ম বাধ্যতামূলক, সরকারও একই কথা বলেছে। মেয়ে ছাত্রীর (পোশাক) জন্য বিকিনি শব্দ ব্যবহার করা উপেক্ষাযোগ্য। কলেজে পড়ার সময় ছাত্রীদের ইউনিফর্ম বা এমন পোশাক পরা উচিত যা তাদের শরীরকে পুরোপুরি ঢেকে রাখে। নারীদের কিছু পোশাক পুরুষদের উত্তেজিত করে বলে ধর্ষণের ঘটনা বাড়ছে, যা ভালো নয়, কারণ আমাদের দেশে নারীদের সম্মান আছে, আমরা তাদের মা হিসেবে গণ্য করি।’

বুধবার তাঁর এই মন্তব্যের পর বিতর্ক ঘনায়। শেষ পর্যন্ত ক্ষমা চাইতে বাধ্য হলেন তিনি। রেণুকাচার্য জানিয়েছেন, ‘‘যদি আমার মন্তব্যে আমার বোনেদের আঘাত লেগে থাকে, তবে সেজন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী।’’ সেই সঙ্গে তিনি এও পরিষ্কার করে দেন, কোনও মহিলাকে অসম্মান করা তাঁর উদ্দেশ্য ছিল না।

আরও পড়ুন: হিন্দুদের ভাল মানেই রাষ্ট্রের ভাল, উত্তরপ্রদেশ ভোটের আগে ইন্ধন ভগবতের RSS প্রধানের

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest