সরকারের উপর সিদ্ধান্ত ছাড়ল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। পাশাপাশি প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় মন্তব্য করলেন, “বিবাহ নামক প্রতিষ্ঠানটি কোনও অনড়, অটল বিষয় নয়। বিবাহে বিবর্তন আসে।”
ব্যক্তি হিসেবে কারও বিবাহের অধিকারে নিষিদ্ধি করা যায় না বলে জানিয়ে দিল দেশের শীর্ষ আদালত। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় জানিয়েছেন, যৌন অভিচারের নিরিখে কাউকে বিবাহের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যায় না। সমকামী যুগলদের রেশন কার্ড, পেনশন, গ্র্যাচুইটি এবং উত্তরাধিকার সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কমিটি গড়ে কেন্দ্রকে পরবর্তী পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিল শীর্ষ আদালত।
সমকামী সম্পর্ক অপরাধমুক্ত হলেও, ভারতে সমকামী যুগলদের বিবাহ এখনও নিষিদ্ধই। সেই নিয়ে মঙ্গলবার শুনানি চলছিল। তাতে প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় এবং পাঁচ বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতি এসকে কউল, বিচারপতি এসআর ভাট, বিচারপতি পিএস নরসিংহ পৃথক রায় দিয়েছেন, চারটি পৃথক রায় দিয়েছেন। বিচারপতি হিমা কোহলিও ওই বেঞ্চে ছিলেন।
এদিন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, “জীবনসঙ্গী বেছে নেওয়া প্রত্যেক নাগরিকের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। কারও কারও ক্ষেত্রে জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। সংবিধানে উল্লেখিত ২১ নম্বর অনুচ্ছেদের অন্তর্গত জীবন এবং স্বাধীনতার অধিকারের মধ্যে পড়ে জীবনসঙ্গী বেছে নেওয়ার অধিকার।”
প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, “বিবাহের অধিকারের মধ্যে জীবনসঙ্গী বেছে নেওয়ার এবং সেই বিবাহের স্বীকৃতি আদায়ের অধিকারও পড়ে। এই ধরনের সম্পর্ককে স্বীকৃতি না দিলে, সমকামী যুগলদের সঙ্গে বৈষম্য করা হয়। কিন্তু যৌন অভিচারের জন্য কারও বিবাহের অধিকার কেড়ে নেওয়া যায় না।”