The rules have not been made yet, Shah's ministry asked for 6 more months to introduce CAA

এখনও তৈরি হয়নি বিধি, CAA চালু করতে আরও ৬ মাস সময় চাইল শাহের মন্ত্রক

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

আইন তৈরি হয়ে গিয়েছে দেড় বছর আগে। কিন্তু কিন্তু সেই সংক্রান্ত নিয়ম-নীতি এখনও ঠিক হয়নি। তার জন্য আরও ছ’মাস সময় প্রয়োজন। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে মঙ্গলবার সংসদে এমনই জানাল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। বলা হয়েছে, নিয়ম-নীতি ঠিক হলে তবেই দেশ জুড়ে সিএএ চালু হবে। অর্থাৎ যে আইন নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে গত দু’বছর ধরে প্রতিবাদ, বিক্ষোভ চলে আসছে গোটা দেশে, সেই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন প্রণয়ন পিছিয়ে গেল ।

আরও পড়ুন: হেস্টিংসে BJP-র সাংগঠনিক বৈঠক চলাকালীন হাতাহাতি, যুবমোর্চার সহ-সভাপতি মৃত্যু

এদিন সংসদে সিএএ সংক্রান্ত একটি প্রশ্নের লিখিত জবাব দিচ্ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই। সেখানেই তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান যে সিএএ চালু করতে আরও ৬ মাস সময়সীমা বাড়াতে চাইছে কেন্দ্র। লোকসভা এবং রাজ্যসভার সংশ্লিষ্ট কমিটির কাছে এই সময়সীমা বাড়তে চেয়ে আবেদন জানানো হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে।

এর আগে ফেব্রুয়ারিতেও সংসদে নাগরিকত্ব আইন লাগু করার বিষয়টি পিছিয়েছিল। ২০১৯ সালের ডিসেম্বর শীতকালীন অধিবেশনে এই আইন পাস করায় কেন্দ্র। তার পর থেকে দেশের বিভিন্ন অংশে এই আইন নিয়ে প্রতিবাদ হয়েছে। সংসদও উত্তাল হয়েছে এই নিয়ে। কিন্তু এক বছর পেরিয়ে গেলেও সেই আইন বলবৎ করতে পারেনি কেন্দ্রের মোদী সরকার। ২০২০ সালের ১০ জানুয়ারি থেকে এই আইন লাগু হয়েছে৷ এর আগে এই আইন প্রস্তুত করার কাজ ৯ এপ্রিল, ২০২১-এর মধ্যে শেষ করার কথা বলা হয়েছিল৷ কিন্তু এবার তা বাড়িয়ে ৯ জুলাই, ২০২১ করা হয়। তবে সেই সময়সীমা পার করেও বিধি তৈরি হল না।

পড়শি দেশ থেকে আসা অমুসলিম সংখ্যালঘু নাগরিকদের নাগরিকত্ব দিতে সিএএ চালু করে কেন্দ্র। তাতে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে পাকিস্তান, আফগানিস্তান, বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পারসি এবং খ্রিস্টানদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তার জন্য নিজের এবং বাবা-মায়ের জন্মের প্রমাণপত্র দিতে হবে। কোনও কারণে তা না দিতে পারলে ভারতে ছ’বছর বসবাসের পর নাগরিকত্বের জন্য আবেদন জানাতে পারবেন তাঁরা।

উল্লেখ্য, সংসদের নিয়ম অনুযায়ী, কোনও বিল পাস হলে তার ৬ মাসের মধ্যে তা প্রস্তুত করে ফেলতে হয়। তবে প্রয়োজনে সরকারের তরফে এই বিষয়ে সময়সীমা বাড়াতে সংসদের সংশ্লিষ্ট কমিটির কাছে চাওয়া যেতে পারে৷ কিন্তু তিনবারের বেশি সময়সীমা বৃদ্ধির আবেদন করা যাবে না।

আরও পড়ুন: বিশ্বাস হারাবেন না, এখনও তুষাররা আছে …

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest