করোনা আতঙ্ক যেন শেষই হচ্ছে না। কবে যে এর সমাপ্তি তাও বুক ঠুকে বলছেন না কেউই। অক্টোবরেই কোভিডের তৃতীয় ঢেউ শিখর ছুঁতে পারে। এই বার প্রাপ্তবয়স্কদের পাশাপাশি শিশুদের মধ্যেও সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশ মেনে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর তত্ত্বাবধানে গঠিত বিশেষজ্ঞদের একটি কমিটি রিপোর্ট দিয়ে জানাল এ কথা।
সোমবার সকাল ১০ টায় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের আপডেট করা তথ্য অনুযায়ী, ভারতে গত ২ hours ঘণ্টায় ২৫,০7২ টি নতুন কোভিড -১ infections সংক্রমণের খবর পাওয়া গিয়েছে । দেশের সামগ্রিক করোনা সংক্রমণের সংখ্যা ৩২,৪৪৯ ,৩০৬ ,এ পৌঁছেছে। তবে সোমবারের যে সংক্রমণ সামনে এসেছে তা 160 দিনের দৈনিক গণনা অনুযায়ী সর্বনিম্ন।
দেশে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ চলাকালীনই বিশেষজ্ঞদের একাংশ সতর্ক করেছিলেন, তৃতীয় ঢেউয়ে রেহাই পাবে না শিশুরা। প্রাপ্তবয়স্কদের পাশাপাশি সমান তালে বাড়বে তাদের ঝুঁকি। বিশেষজ্ঞদের ওই বক্তব্যের সঙ্গেই সহমত পোষণ করে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে রিপোর্ট জমা দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশে তৈরি জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষের গঠিত বিশেষজ্ঞদের একটি কমিটি। দেশের একাধিক রাজ্যে ‘আর ভ্যালু’ (এক জন সংক্রমিতের থেকে কত জন আক্রান্ত হতে পারেন) গত জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে ‘১’-এর উপর উঠে আসার বিষয়টি রিপোর্টে উল্লেখ করে দাবি করা হয়েছে, ইতিমধ্যেই দেশে আছড়ে পড়েছে কোভিডের তৃতীয় ঢেউ। এই পরিস্থিতিতে শিশুদের মধ্যে, বিশেষত কোমর্বিডিটি থাকা বাচ্চাদের মধ্যে সংক্রমণ মোকাবিলায় ও চিকিৎসা-পরিকাঠামোর উন্নতিতে কী কী পদক্ষেপ জরুরি, সেই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ওই রিপোর্টে।
আরও পড়ুন : মোদীই রক্ষাকর্তা! ‘তালিবান জুজু’ দেখিয়ে জনপ্রিয়তা বাড়ানোর নয়া কৌশল বিজেপির
একটু একটু করে স্বাভাবিক হচ্ছিল জনজীবন। মানুষ কর্মচঞ্চল জীবনের মূল স্রোতে ফেরার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু তার মধ্যে এই আশংকার খবর সামনে আসায় ফের কপালে ভাঁজ পড়েছে আমি আদমির। শিশুদের ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তায় দেশবাসী।এর মাঝেই অনেকেই অবশ্য প্রশ্ন তুলেছেন কিভাবে আগাম বলা হচ্ছে যে তৃতীয় ঢেউ আসবে ? এর কি কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি রয়েছে? নাকি তা নিছকই পূর্বানুমান? কেউ কেউ বলেছেন যদি আগাম বোঝায় যাচ্ছে যে তৃতীয় ঢেউ আসবে তা রোখা যাচ্ছে না কেন ?
যদি বৈজ্ঞানিক কোন ভিত্তি না থাকে তাহলে এই ধরণের আশঙ্কার কথা না বলাই ভালো বলে মনে করছেন অনেকেই। এইভাবে কাউকে সচেতন করা যায় না। এতে কেবল গুজব এবং ভীতি বাড়ে। যা আমাদের অর্থনীতির ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে। এইভাবে ভীতি ছড়ানো হলে তা দেশজুড়ে মারাত্মক আর্থিক সংকটকে আরও গভীর করবে বলে অনেকের ধারণা।
আরও পড়ুন : বিয়ের অভিযোগকে কেন্দ্র করে অশান্তি, হাসপাতালে BJP বিধায়ক চন্দনা বাউরির ‘দ্বিতীয় স্বামী’