ভয়ংকর বিস্ফোরণের জেরে আগামীদিনে চরম সংকটের মধ্যে পড়তে চলেছে লেবানন। এই বিস্ফোরণের জেরে চরম খাদ্য সংকট দেখা দেওয়ার আশঙ্কা সেখানে।
লেবাননের রাজধানী বেইরুট বিশাল বিস্ফোরণে ইতোমধ্যেই অন্তত ১০০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। আহত হয়েছে আরও ৪ হাজারের বেশি মানুষ। বিস্ফোরণের পর এখন পর্যন্ত ১০০ জনেরও বেশি মানুষের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধানে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা।
আরও পড়ুন : কাশী ও মথুরাকেও ‘স্বাধীন’ করার ডাক কর্নাটকের বিজেপি মন্ত্রীর
মঙ্গলবার যেখানে বিস্ফোরণ হয়েছে, সেটি মূলত বন্দর এলাকা। আর সেখানকারই গুদামগুলিতে মজুত রাখা ছিল হাজার হাজার টন খাদ্যশস্য। বিস্ফোরণে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে সেই সব শস্য। লেবাননের অর্থমন্ত্রী রাউল নেহমে চরম হতাশার সঙ্গে জানিয়েছেন, মাত্র এক মাসের মতো শস্য রয়েছে লেবানন সরকারের হাতে।
বেইরুট বন্দরের বহু গুদাম রয়েছে। আর সেই সমস্ত গুদামগুলিতে প্রায় ১ লক্ষ ২০ হাজার টন খাদ্যশস্য মজুত রক্ষার ক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু অতটা না হলেও বিস্ফোরণের সময় বন্দরের গুদামগুলিতে ছিল প্রায় ১৫ হাজার টন গম। যা নিমেষের মধ্যে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে।
দেশের সাধারণ মানুষের খাদ্য সুরক্ষার জন্যেই অন্তত পক্ষে ৩ মাসের খাদ্য মজুত করে রাখে সরকার। কিন্তু মঙ্গলবারের বিস্ফোরণের পর যে পরিস্থিতি দাঁড়াল, তাতে মাত্র ১ মাস চলতে পারে ওই খাবারে।
যদিও এই অসহায় পরিস্থিতিতেও হার মানতে রাজি নয় লেবানন সরকার। জানা গিয়েছে, গুদামগুলি থেকে আগেই কিছু ব্যবসায়ী মাল খালাস করে নিয়েছিলেন। তাঁদের থেকে সংগ্রহ করা হবে শস্য। সেইসঙ্গে আরও ২৮ হাজার টন গম নিয়ে বেইরুটের বন্দরেই আসছে আরও চারটি জাহাজ।
গুদামে অন্তত ৬ বছর ধরে মজুত রাখা অত্যন্ত বিপদজনক বিস্ফোরক থেকে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। প্রধানমন্ত্রী হাসান দিয়াব এই ঘটনাকে বিপর্যয় বলে বর্ণনা করেছেন এবং দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন।
লেবাননের প্রেসিডেন্ট মিশেল আউন ট্যুইট করে বলেছেন, ‘কোন গুদামে ২,৭৫০ টন অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের মত বিস্ফোরক অনিরাপদভাবে মজুত রাখার বিষয়টি গ্রহণযোগ্য নয়।’ বুধবার থেকে তিনদিনের জন্য লেবাননে শোক পালন করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন : বেটাডিন দিয়ে ৩০ সেকেন্ড গার্গলে ভ্যানিশ হবে করোনা! দাবি সিঙ্গাপুরের গবেষকদের