করোনা ভ্যাকসিন তৈরি করতে পাঁচ লক্ষ হাঙর বলি হতে পারে। হ্যাঁ ঠিক দেখছেন আপনি। পাঁচ লক্ষ হাঙরকে মেরে ফেলা হবে করোনা ভ্যাকসিনের জন্য। জানা গিয়েছে, এই বিপন্ন প্রাণির শরীরে এক ধরনের প্রাকৃতিক তেল নির্গত হয় যা ভ্যাকসিন তৈরিতে অত্যন্ত অপরিহার্য। হাঙরের দেহ থেকে নির্গত তেলই এখন দরকার বিজ্ঞানী-চিকিৎসকদের।
অ্যাজুভ্যান্ট একপ্রকার স্ক্যালেন, যা হাঙরের লিভারের মধ্যে থাকে। সেই প্রাকৃতিক তেল পেতেই বর্তমানে হাঙর হত্যালীলার জন্য তৈরি হচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। এক টন স্ক্যালেন তৈরি করতে ৩ হাজার হাঙরকে মেরে ফেলতে হবে। বিশ্বের সবাইকে একবার করে করোনা ভ্যাকসিন দিতে গেলে প্রায় আড়াই লক্ষ হাঙরকে মারতে হবে।
আরও পড়ুন : মোবাইল,মিষ্টি ও আয়কর সহ হরেক, অক্টোবরেই চালু ১০ নয়া নিয়ম
যদি দুবার করে ভ্যাকসিনের প্রয়োজন হয়, তাহলে সেই সংখ্যাটা গিয়ে দাঁড়াবে পাঁচ লক্ষে। এমনটাই জানিয়েছে ক্যালিফোর্নিয়ার শার্ক অ্যালায়েজ নামে এক হাঙর সংরক্ষণ গ্রুপ।
সব টিকা তৈরিতেই লাগে অ্যাজুভ্যান্ট। ল্যাটিনে যাঁকে বলে হেল্প (help)। বাংলায় সাহায্য। সেই অ্যাজুভ্যান্ট (adjuvant) হল একটি ফার্মাকোলজিক্যাল এজেন্ট। যা ভাইরাসের বিরুদ্ধে ভ্যাকসিনের রোধ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা অনেকাংশই বাড়িয়ে দেয়।
উপাদানটাই পাওয়া যায় হাঙরের লিভার থেকে। টিকার কার্যকরী ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে এর অপরিহার্য ভূমিকা রয়েছে। ফলে এটা থেকে পরিস্কার মানব সমাসজকে টিকিয়ে রাখতে হলে লক্ষ লক্ষ হাঙরের প্রাণ যাবে অচিরেই।
হাঙর ছাড়াও অন্যান্য সামদ্রিক প্রাণির দেহে পাওয়া যায়। কিন্তু হাঙরের লিভারে যে স্ক্যালেন পাওয়া যায় তা অন্যদের তুলনায় অনেক শক্তিশালী ও কার্যকরী। সম্প্রতি একটি সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, মেকানিক তেল, কসমেটিক্স ও অন্যান্য ভোগ্যপণ্য তৈরির জন্য বছরে ৩০ লক্ষ হাঙর নিধন করা হয়।
শুধু করোনা ভ্যাকসিনের জন্যই নয়, হাঙরের লিভার অয়েলের দাবি মেটাতে বহু বিপন্ন প্রজাতির হাঙরকে মেরে ফেলার কাজ হয়ে চলে বছরের পর বছর ধরে। ব্রিটিশ ফার্মা জায়েন্ট GlaxoSmithKline করোনা ভ্যাকসিনের প্রায় ১০০কোটি ডোজ তৈরির করার প্রতিশ্রুতি জানিয়ে ঘোষণা করেছে। আর এই টিকা তৈরির কাজে ইতিমধ্যেই হাঙরের স্ক্যালেন ব্যবহার করা শুরু করে দিয়েছে ওই বিশ্ববিখ্যাত সংস্থাটি।
আরও পড়ুন : কাস্টমার কেয়ারে ফোন করে দীর্ঘ অপেক্ষার দিন শেষ! মুশকিল আসান গুগলের নয়া এই ফিচারে