মুকুটে নয়া পালক, উন্নয়নশীল দেশের তকমা পেল বাংলাদেশ

মুজিববর্ষে আরও এক পালক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুকুটে।
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

মুজিববর্ষে আরও এক পালক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুকুটে। এবার রাষ্ট্রসংঘের তালিকায় স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের তকমা পেল বাংলাদেশ (Bangladesh)। শুক্রবার এমনটাই জানিয়েছেন রাষ্ট্রসংঘের ‘কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি’র (CDP) অন্যতম শীর্ষকর্তা তাফেরে তেসফাচিউ।

প্রাথমিক ভাবে ২০১৮ সালেই বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় পৌঁছনোর উপযোগী বলে ঘোষণা করেছিল রাষ্ট্রপুঞ্জের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি (ইউএন-সিডিপি)। নিয়ম অনুযায়ী, পরের তিন বছর উন্নয়নের সেই মানদণ্ড ধরে রাখতে পারলে তার পরে চূড়ান্ত সুপারিশ করে ইউএন-সিডিপি। বাংলাদেশ শুক্রবার এই সুপারিশ অর্জন করেছে বলে শনিবার একটি ভার্চুয়াল সাংবাদিক বৈঠক ডেকে জানিয়েছেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, “একটি মহৎ এবং গৌরবোজ্জ্বল অর্জনের এ কৃতিত্ব এ দেশের জনসাধারণের। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা এই মাইলফলক অর্জন করতে পেরেছি।”

আরও পড়ুন: গলওয়ানে সংঘর্ষের ভিডিয়ো প্রকাশ করল চিন, দায় চাপানো হল ‘বিদেশি বাহিনী’র উপর

প্রধানমন্ত্রী জানান, উন্নয়নশীল দেশের যোগ্যতা অর্জনে একটি দেশের মাথাপিছু আয় হতে হয় কমপক্ষে ১২৩০ ডলার। ২০২০ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ছিল ১৮২৭ ডলার। তিনি বলেন, “বর্তমানে আমাদের মাথাপিছু আয় ২০৬৪ ডলার, অর্থাৎ মানদণ্ডের চেয়ে প্রায় ১ দশমিক ৭ গুণ বেশি। মানবসম্পদ সূচকে নির্ধারিত মানদণ্ড ৬৬ হলেও বাংলাদেশের অর্জন ৭৫.৪।

অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত ভঙ্গুরতা সূচকে উত্তরণের জন্য মানদণ্ড নির্ধারিত ছিল ৩২ বা তার কম। কিন্তু ওই সময়ে এই ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান ২৭। এই সরকারের নেতৃত্বে, উন্নয়নের এই গতি বজায় থাকলে বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশ অচিরেই একটি উন্নত-সমৃদ্ধ মর্যাদাশীল দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে।”

কারাগারে লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর পরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রত্যাহারের দাবিতে ঢাকা এখন উত্তাল। ছাত্রদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষও হয়েছে শুক্রবার রাতে। এই আইন নিয়ে সমালোচনার জবাবে হাসিনা বলেন, “ডিজিটাল বাংলাদেশ যখন গড়েছি, তখন ডিজিটাল নিরাপত্তা দেওয়াও আমাদের দায়িত্ব। শিশু, যুবক থেকে শুরু করে কেউ যেন বিপথে যেতে না পারে, বা জঙ্গিবাদ সন্ত্রাসবাদে জড়িত হতে না পারে সেটা দেখতেই হবে। সে জন্যই ডিজিটাল নিরাপত্তা দেওয়া অপরিহার্য।” তিনি মন্তব্য করেন, যে কোনও মৃত্যুই দুঃখের। তবে আইন তার পথেই চলবে।

আরও পড়ুন: বিচ্ছেদেরও স্বাধীনতা নেই! থাকতে হবে ‘কুলিং পিরিয়ড’- এ, নয়া নিয়মে সরগরম চিন

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest