নয়াদিল্লি: শুধু আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার অপেক্ষা ছিল। তারপরই সরকারিভাবে ঘোষণা করা হল, মধ্যপ্রদেশ থেকে রাজ্যসভায় বিজেপির প্রার্থী হচ্ছেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া।
গতবছর লোকসভা ভোটে হেরে গিয়েছিলেন সিন্ধিয়া। পরে শোনা যায়, কংগ্রেস তাঁকে রাজ্যসভায় প্রার্থী করতে চাইছে না। মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ নাকি বলেছিলেন, যিনি লোকসভা ভোটে হেরে গিয়েছেন, তাঁকে রাজ্যসভায় প্রার্থী করা ঠিক নয়। এরপরেই নাকি সিন্ধিয়ার সঙ্গে কংগ্রেসের দূরত্ব তৈরি হয়।
আরও পড়ুন: সেভিংস অ্যাকাউন্টে সুদের হার কমাল SBI, তবে উঠে গেল মিনিমাম ব্যালেন্সের শর্ত,এসএমএস অ্যালার্টের চার্জ
দীর্ঘ ১৮ বছর কংগ্রেসের সদস্য ছিলেন জ্যোতিরাদিত্য। এদিন তিনি বলেন, “গত ১৮ মাসে আমার স্বপ্ন ভেঙে গিয়েছে। কৃষকদের যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, তা পালন করা হয়নি।” কংগ্রেসের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “ওই দলটি আগে যেমন ছিল এখন আর সেরকম নেই।” পরে তিনি বলেন, “২০০১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর আমার বাবা মাধবরাও সিন্ধিয়া মারা গিয়েছিলেন। তারপরে আমার জীবন বদলে যায়। আজকের দিনটি, অর্থাৎ ২০২০ সালের ১০ মার্চ আমার জীবনে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকবে। আজ আমার বাবার ৭৫ বছরের জন্মদিন।”
BJP announces the names of party's candidates for the upcoming election to the Rajya Sabha. https://t.co/sQItPuDotq pic.twitter.com/FAjziadv2Q
— ANI (@ANI) March 11, 2020
মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস সরকারকে সেইসব অভিযোগ বাণে বিদ্ধ করার মেরেকেটে ঘণ্টাতিনেক পরেই সিন্ধিয়া বংশের প্রতিনিধিকে রাজ্যসভার প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করে বিজেপি। একটি তালিকা প্রকাশ করে জানানো হয়, মোদীর উপস্থিতিতে জাতীয় নির্বাচন কমিটির বৈঠকে সিন্ধিয়ার নামে সিলমোহর দেওয়া হয়েছে।আগামী ২৬ মার্চ রাজ্যসভার নির্বাচন হবে। সেজন্য আগামী শুক্রবার পর্যন্ত মনোনয়ন জমা দেওয়া যাবে। মধ্যপ্রদেশের তিনটি আসন পূরণের জন্য এই নির্বাচন হচ্ছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, মধ্যপ্রদেশে অনায়াসে জিতবেন জ্যোতিরাদিত্য। আর তারপরই হিন্দি বলয়ের অন্যতম রাজ্য দখলে পূর্ণশক্তিতে ঝাঁপাবে বিজেপি।
আরও পড়ুন: একধাক্কায় অনেকটা দাম কমল পেট্রল ও ডিজেলের, জানুন আজকের দাম
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সিন্ধিয়া পদত্যাগ করার পরেই মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসের ২১ জন বিধায়ক রাজ্যপালের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন। মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ অবশ্য বলছেন, তিনি ক্ষমতায় টিকে যাবেন। কিন্তু রাজ্যপাল যদি ২১ জন বিধায়কের পদত্যাগ গ্রহণ করেন, তাহলে কংগ্রেস সরকার নিশ্চিতভাবেই গরিষ্ঠতা হারাবে। এই পরিস্থিতিতে বুধবার কংগ্রেস ও বিজেপি, উভয় দলই বিধায়কদের সরিয়ে ফেলেছে। বিজেপির বিধায়করা আছেন গুরগাঁওয়ের পাঁচ তারা আইটিসি গ্র্যান্ড ভারত হোটেলে। কংগ্রেস তার বিধায়কদের নিয়ে গিয়েছে রাজস্থানের জয়পুরে।
(আপনার আশপাশের পরিবর্তনের অংশ হতে চান? আমাদের খবর পাঠান ইমেল্ ও হোয়াটআপের মাধ্যমে)