নির্বাচন কমিশনের আলোচনা প্রায় শেষের পথে।কমিশন সূত্রে খবর, আগামী ২১ নভেম্বর দুই পুরসভাতেই বকেয়া নির্বাচনের নির্ঘন্ট ঘোষণা করা হবে। ২৫ নভেম্বর বিজ্ঞপ্তি জারি করবে কমিশন (Election Commission)।
কলকাতার ১৪৪ টি এবং হাওড়ার ৫০ টি ওয়ার্ডে ভোটগ্রহন হবে ১৯ ডিসেম্বর, রবিবার। এবং গণনার দিন ধার্য হয়েছে ২২ ডিসেম্বর বুধবার। রাজ্যের পুর প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘রাজ্যে পুরভোট হবে। এনিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে পুর এবং নগরোন্নয়নের দফতরের আধিকারিকদের প্রাথমিক বৈঠক হয়েছে। যথাসময়ে সিদ্ধান্ত ঘোষণা হবে। দুই পুরসভার বকেয়া ভোটের সম্ভাব্য দিনক্ষণ জানতে চেয়েছিল কমিশন। রাজ্য সরকার থেকে চিঠি দিয়ে নির্ঘন্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।’ উল্লেখ্য, মঙ্গলবার ৯ নভেম্বর রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক রয়েছে। সেখানেই সিদ্ধান্ত নেও হবে কিনা প্রশ্ন উঠতেই পুর প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘পুরভোট নিয়ে মন্ত্রিসভায় আলোচনা হয় না।’
প্রায় দেড় বছর হতে চলল। রাজ্যের বহু পুরসভায় ভোট বাকি। গত বছর করোনা পরিস্থিতির জন্য ভোট হয়নি। কলকাতা-সহ রাজ্যের মোটামুটি সব পুরসভায় প্রশাসক পদ তৈরি করে কাজ কর্ম চলছে। এখন করোনা পরিস্থিতি কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে। টিকাকরণও জোরকদমে চলছে। তাই বিরোধীরা বার বার পুরভোটের দাবি জানাচ্ছে। ভবানীপুর-সহ রাজ্যের পাঁচ কেন্দ্রে উপনির্বাচন এবং দুই কেন্দ্রে নির্বাচনের জন্য তৎপরতা দেখিয়েছিল তৃণমূল। সেই ভোটও সম্পন্ন।
জানা গিয়েছে, নবান্নের তরফে রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে কোনও সংশয় না থাকলে আগামী ২৫ ডিসেম্বরের আগে ১৯-১০ তারিখ পুরভোট হতে পারে কলকাতা-সহ তিন পুরনিগমে। কেন ডিসেম্বরেই করতে চায় রাজ্য? উল্লেখ্য, ফেব্রুয়ারি-মার্চ এবং এপ্রিলে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেছে রাজ্য। তাই এই তিন মাসে পুরভোট করা সম্ভব নয়।
অন্যদিকে, শীতের সময় রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন উৎসব, পার্বণ, মেলা চলে। সেইসময়ও ভোট করাতে চায় না নবান্ন। সব পরিস্থিতি বিবেচনা করে কলকাতা-সহ তিন পুরনিগমে ডিসেম্বরের মধ্যে ভোট করিয়ে নিতে চাইছে নবান্ন, এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। প্রসঙ্গত, ভবানীপুরে উপনির্বাচনের ফল ঘোষণার দিনই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, বাকি চার কেন্দ্রে উপনির্বাচন শেষ হলেই পুরভোট করিয়ে নিতে চায় রাজ্য সরকার। সেইমতো এবার পুরভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছে নবান্ন এবং কমিশন।