রবিবার কলকাতায় ভোটগ্রহণ ঘিরে কোনও অভিযোগ উঠলেই দলের বিধায়করা রাস্তায় নামবেন বলে আগে থেকেই হুমকি দিয়ে রেখেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কলকাতার বাইরে ভোটারদের শহরে ঢোকায় বিধিনিষেধ থাকলেও বিধায়কদের হস্টেলে থাকায় কোনও বাধা ছিল না। সেই মতো বিজেপি-র আট বিধায়ক কিড স্ট্রিটের হোস্টেলে ছিলেন। বিকেল সাড়ে ৩টে নাগাদ তাঁরা হস্টেল থেকে বেরতে গেলে দেখেন মূল গেটে তালা দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর পরে আট বিধায়ক হস্টেল চত্বরের রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।
বিজেপি-র অভিযোগ, দলের বিধায়কদের আটকে রাখার জন্যই হস্টেলের গেটে তৃণমূল তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। তবে প্রশাসনের দাবি, ভোটের দিনে কলকাতার বাইরের বিধায়করা রাস্তায় নামলে অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে সেটা নিশ্চিত করতেই গেটে তালা দেওয়া হয়েছে। বিধায়কদের নিরাপত্তার কারণেই এই ব্যবস্থা। তবে কারা তালা ঝুলিয়েছেন সে বিষয়ে প্রশাসনের তরফে কিছু জানানো হয়নি।
বিজেপির দাবি, এ দিন দুপুর ২ টোয় সল্টলেকে বিজেপি বিধায়কদের একটি বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। যে বৈঠকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীস সহ গেরুয়া শিবিরের একাধিক নেতা নেত্রী উপস্থিত ছিলেন। সেই বৈঠকেই যাওয়ার কথা ছিল এই বিজেপি বিধায়কদের। কিন্তু ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পরই বিধায়কদের আবাসনের গেটে তালা দিয়ে দেওয়া হয়। গেট খোলার পর বিজেপি বিধায়ক বলেন, ‘সভ্য সমাজে এমনটা কাম্য নয়। গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে। একজন বিধায়কের সঙ্গে যদি এমনটা করা হয়, তাহলে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কী করা হবে?’ সংবাদমাধ্যমকেও আক্রমণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
পুলিশ প্রাথমিকভাবে এ বিষয়ে মুখ না খুললেও গেটের সামনে দায়িত্বে থাকা এক পুলিশ কর্মী জানান, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে গেটে তালা দেওয়া হয়েছে। তালা খোলার পর বিজেপি বিধায়ক দাবি করেন, ‘যে পুলিশ কর্মী দাবি করেছেন যে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে এমনটা করা হয়েছে, তিনি বোধহয় জানেন না যে এমএলএ হস্টেলে কোনও কমিশন বা পুলিশের নিয়ম চলে না। এখানে শুধু স্পিকারের নিয়ম চলে।’
কেন এ ভাবে বিজেপি বিধায়কদের আটকে রাখা হল? সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘কলকাতায় যে কয়েকজন বিধায়ক আছে তারা সবাই তৃণমূলের, তাই বিজেপি বিধায়কের কেন আটকে রাখা হবে? আমরা কি উন্মাদ? কুণাল ঘোষের দাবি, এমএলএ হস্টেলে একটিমাত্র গেট নেই, রয়েছে একাধিক গেট। তাই এই অভিযোগ অবান্তর বলেই দাবি তাঁর।