মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচারের উপর ২৪ ঘণ্টার জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করল নির্বাচন কমিশন। তাঁর বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ তুলে এই ব্যান জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। সূত্রের খবর, সোমবার রাত ৮ টা থেকে মঙ্গলবার রাত ৮ টা পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে তিনি কোনও প্রচারে অংশ নিতে পারবেন না। সাম্প্রতিক সময়ে নির্বাচন কমিশন যত নির্দেশিকা জারি করেছে, তার মধ্যে এটাই সবচেয়ে বড়।
স্বাভাবিকভাবেই কমিশনের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন টুইটারে লিখেছেন, “এপ্রিল ১২। আমাদের গণতন্ত্রের কালো দিন।” তৃণমূলের স্পষ্ট দাবি, এটা সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
April 12.
BLACK DAY in our democracy.
— Derek O'Brien | ডেরেক ও'ব্রায়েন (@derekobrienmp) April 12, 2021
আরও পড়ুন: Mathabhanga Firing: সাংবাদিক বৈঠক করে শীতলকুচির নিহতদের পরিবারের সঙ্গে ভিডিয়ো কলে কথা মমতার
কমিশনের জারি করা বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুটি মন্তব্যকে কেন্দ্র করে বিতর্ক দানা বেঁধেছিল। একটি মন্তব্য ছিল সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ভোট সংক্রান্ত, অপর মন্তব্যটি ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘেরাও প্রসঙ্গে। তাঁর এই দুই মন্তব্যের জেরে রাজ্যের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও শান্তি বিঘ্নিত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছিলেন বিরোধীরা। এর পরই ৭ এপ্রিল তৃণমূলনেত্রীকে শোকজ করে কমিশন। ৯ তারিখ সেই শোকজের জবাব দিয়েছিলেন মমতা। কিন্তু সেই জবাবে সন্তুষ্ট নয় কমিশন। তাঁদের দাবি, শোকজের বাছাই করা অংশের জবাব দিয়েছিলেন তিনি। তাই এবার আরও কড়া পদক্ষেপ করল কমিশন।
Election Commission of India imposes a ban of 24 hours on West Bengal Chief Minister Mamata Banerjee from campaigning in any manner from 8 pm of April 12 till 8 pm of April 13 pic.twitter.com/FFNL2KvVxv
— ANI (@ANI) April 12, 2021
তবে এই ব্যানের সিদ্ধান্ত যদি শুধুমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রে হয় তবে তা অবশ্যই পক্ষপাতদুষ্ট হবে মনে করছেন বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী। শীতলকুচি নিয়ে দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিনহা ও সায়ন্তন বসুর মন্তব্য়কে স্মরণ করিয়ে দিয়ে সুজন জানতে চেয়েছেন, তাঁদেরকেও কেন ব্যান করা হবে না। সুজন বলেছেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উস্কানিমূলক বক্তব্য রেখেছিলেন তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু রাহুল সিনহা যে বললেন চারজনের জায়গায় আটজনকে গুলি মারা উচিত ছিল, তাঁকে কেন ব্যান করা হবে না। তাঁকে ব্যান না করে যদি শুধুমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে ব্যান করা হয়, তাহলে সেটা অবশ্যই রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।”
আরও পড়ুন: ‘দিদি ও দিদি’, ইভটিজারের মুখে এবার মোদীর সুর, FIR দায়ের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে