পরিকল্পনা আগেই করে রেখেছিলেন। ইচ্ছাকৃতভাবে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস (Cyclone Yaas) প্রধানমন্ত্রীর (PM Narendra Modi) সঙ্গে কলাইকুণ্ডায় রিভিউ বৈঠক বয়কট করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। টুইট করে এমনই দাবি করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Governor Jagdeep Dhankhar )।
ধনখড়ের দাবি, ২৭ মে রাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে ফোনে জানিয়েছিলেন, বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারী উপস্থিত থাকলে, তিনি থাকবেন না। ২৮ মে সেই পরিকল্পনা মতোই মুখ্যমন্ত্রী এবং মুখ্যসচিব বৈঠক বয়কট করেন। রাজ্যপালের দাবি, বৈঠক সংক্রান্ত বিষয়ে অসত্য কথা বলছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর এই পদক্ষেপ অগণতান্ত্রিক ও অসাংবিধানিক বলে আখ্যা দিয়েছেন রাজ্যপাল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ব্যবহার যুক্তরাষ্ট্রীয় ঐতিহ্যের পরিপন্থী। দাবি ধনখড়ের।
আরও পড়ুন : চার সংখ্যায় নামার মুখে রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ, অ্যাক্টিভ কেস কমল প্রায় ৮ হাজার
ঠিক কী লিখেছেন রাজ্যপাল? রাজ্যপাল টুইটে লিখেছেন, ‘গত ২৭ মে রাত ১১টা বেজে ১৬ মিনিটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমায় একটি মেসেজ করেছিলেন। তিনি লিখেছিলেন, ‘আপনার সঙ্গে কথা বলতে পারি? খুব জরুরি। তারপরই উনি আমায় ফোন করে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, ওই বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারী থাকলে তিনি ওই বৈঠক বয়কট করবেন।’ এই টুইট নিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। রাজ্যপালের এই দাবি কি সত্য? প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এমনকী এই বিষয়ে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বক্তব্য না দেওয়া পর্যন্ত এমন আলোচনা চলতে থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে।
Constrained by false narrative to put record straight: On May 27 at 2316 hrs CM @MamataOfficial messaged “may i talk? urgent”.
Thereafter on phone indicated boycott by her & officials of PM Review Meet #CycloneYaas if LOP @SuvenduWB attends it.
Ego prevailed over Public service
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) May 31, 2021
রাজ্যপাল টুইটে লেখেন, “গত ২৭ মে রাত ১১টা বেজে ১৬ মিনিটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমায় একটি মেসেজ করেছিলেন। তিনি লিখেছিলেন, ‘আপনার সঙ্গে কথা বলতে পারি? খুব জরুরি।” তখনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠক বয়কট করার ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছিলেন বলে দাবি করেন রাজ্যপাল। রাজ্যপাল লেখেন, “উনি আমায় ফোন করে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, ওই বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারী থাকলে তিনি সদলে ওই বৈঠক বয়কট করবেন।”
রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিবের উদ্দেশেও টুইট করেন রাজ্যপাল। তিনি লেখেন, ‘দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর দীর্ঘ ইতিহাসে ২৮ মে দিনটি ‘কালো দিন’ হিসেবে ইতিহাসের পাতায় থেকে যাবে। প্রধানমন্ত্রীর পর্যালোচনা বৈঠকে ধ্বংস হয়েছে দেশের গণতন্ত্র’।
রাজ্যপাল লেখেন, “অহং জিতল, পরাজিত নাগরিক পরিষেবা….” প্রশ্ন হল কার অহং?
আরও পড়ুন : রাজ্যের নতুন মুখ্যসচিব এইচকে দ্বিবেদী, স্বরাষ্ট্রসচিব হলেন বিপি গোপালিকা