ওয়েব ডেস্ক: রাজস্থানে আটকে পড়া রাজ্যের ১,০০০ পরিযায়ী শ্রমিককে ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগী পশ্চিমবঙ্গ সরকার। আজমের থেকে বিশেষ ট্রেনে মঙ্গলবার সকালে বাংলায় ফিরছেন ওই শ্রমিকরা।
রাজস্থানের আজমেঢ় থেকে হাওড়ার উদ্দেশ্যে সোমবার রওনা দেবে বিশেষ ট্রেন। ওই ট্রেনে রাজস্থানে আটকে থাকা শ্রমিকরা ছাড়াও থাকছেন কিছু তীর্থযাত্রী এবং পড়ুয়া। নবান্ন থেকে জানানো হয়েছে, ওই ট্রেন চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় সম্মতি পত্র ইতিমধ্যেই পাঠানো হয়েছে রাজস্থান সরকারকে।
রবিবার পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রকের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে যে, সোমবার আজমের থেকে রওনা দিয়ে ৫ তারিখ সকালে এসে পৌঁছবে বিশেষ নন-স্টপ ট্রেনটি। অন্য দিকে একই ভাবে শ্রমিকরা ফিরছেন কেরল থেকে। এই ট্রেনেও কিছু পড়ুয়া এবং তীর্থযাত্রী থাকবেন। রবিবার এ নিয়ে টুইটও করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিশেষ ট্রেনের জন্য প্রয়োজনীয় সম্মতিপত্র ইতিমধ্যেই কেরলকে পাঠিয়েছে রাজ্য। সব মিলিয়ে প্রায় আড়াই হাজার শ্রমিক রাজ্যে ফিরতে চলেছেন। এঁরা প্রত্যেকেই লকডাউনের জন্য আটকে গিয়েছিলেন। রাজস্থান এবং কেরল এই দুই রাজ্যেই বাংলার প্রচুর শ্রমিক কাজ করেন। কেরলে হোটেল এবং নির্মাণ শিল্পে কাজ করেন এ রাজ্যের প্রচুর শ্রমিক। অন্যদিকে রাজস্থানেও নির্মাণ শিল্প সহ অন্যন্য শিল্পে কাজ করেন এ রাজ্যের বহু মানুষ।
আরও পড়ুন: আসছে KBC 12, বাড়িতে নিজেই প্রোমো শ্যুট করলেন অমিতাভ, দেখুন ভিডিও
নবান্ন সংশ্লিষ্ট দুই রাজ্যের কাছ থেকে ট্রেনে আসা সমস্ত শ্রমিকদের সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছে। যাতে তাঁরা রাজ্যে এসে পৌছনোর পর তাঁদের বাড়ি পৌঁছনোর জন্য বাস বা অন্য পরিবহনের ব্যবস্থা আগে থেকে করে রাখা সম্ভব হয়। তবে এই ট্রেনের ভাড়া কে দিচ্ছে তা স্পষ্ট নয়। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদহ, মুর্শিদাবাদ ছাড়াও হাওড়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনার শ্রমিকরা রয়েছেন এই দু’টি ট্রেনে। তাঁরা পৌঁছনোর পর কোয়রান্টিনে রাখা হবে। তাঁদের শারীরিক অবস্থার উপর নজর রাখা হবে। প্রয়োজনে নমুনাও পরীক্ষা করা হবে।
শনিবার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য সচিব রাজীবা সিনহাকে চিঠি মারফৎ রাজস্থানের মুখ্য সচিব ডি বি গুপ্তা জানান, আজমের থেকে বাংলার আটকে পড়া তীর্থযাত্রীদের নিয়ে একটি বিশেষ ট্রেন সোমবার হাওড়ার উদ্দেশে রওনা দেবে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশ মেনেই এই ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
সেই চিঠির উত্তরে এ দিন রাজ্যের মুখ্য সচিব রাজীবা সিনহা তাঁর চিঠিতে জানিয়েছেন, ওই ট্রেনের সূচিতে বাংলার শ্রমিকদের সুবিধার্থে কিছু পরিবর্তন করা প্রয়োজন। তিনি জানিয়েছেন, ট্রেনটি যাতে দুপুরের মধ্যে হাওড়ায় পৌঁছায় তা সুনিশ্চিত করতে হবে কারণ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় শ্রমিকদের পৌঁছানো ও তার আগে তাঁদের স্ক্রিনিং প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে সময় লাগবে। একই সঙ্গে হাওড়ার পথে দুর্গাপুর ও ডানকুনিতে ট্রেনটি দাঁড়ালে সুবিধা হবে।
জানা গিয়েছে, বাংলার অনুরোধ মেনে সোমবার সকালে শ্রমিকদের নিয়ে রওনা দিচ্ছে বিশেষ ট্রেনটি। পথে শুধুমাত্র দুর্গাপুর ও ডানকুনিতে সাময়িক বিরতি দিয়ে সকালেই হাওড়া পৌঁছবে এই ট্রেন।
আরও পড়ুন: করোনা ত্রাণ তুলতে ‘ডিনার ডেট’-এর অফার দিচ্ছেন এই টেনিস সুন্দরী, যেতে পারবেন আপনিও