করোনা নিরাময় ওষুধ নিয়ে বিতর্কে রামদেব, রাজস্থানে যোগগুরুর বিরুদ্ধে FIR

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

The News Nest: বিপাকে যোগগুরু। করোনাভাইরাস (Coronavirus) থেকে সুস্থ করে তুলতে পারে দাবি করে, কেন্দ্রীয় আয়ুষ মন্ত্রকের ছাড়পত্র ছাড়াই রাজস্থানে আয়ুর্বেদিক ওষুধ বাজারে ছেড়েছিল রামদেবের সংস্থা পতঞ্জলি। ইতিমধ্যে ওই ওষুধ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। যার জেরে যোগগুরুর বিরুদ্ধে শনিবার এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।

শুধু রামদেব নন, পতঞ্জলি আয়ুর্বেদের এমডি আচার্য বালকৃষ্ণ, জয়পুরের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সে অ্যান্ড রিসার্চ (NIMS)-এর ডিরেক্টর বিএস তোমর, তাঁর ছেলে অনুরাগ তোমর এবং সিনিয়র বিজ্ঞানী অনুরাগ ভার্শনের বিরুদ্ধেও একই সঙ্গে এফআইআর দায়ের হয়েছে।

আরও পড়ুন : দেশে করোনার ফের রেকর্ড! ২৪ ঘন্টায় আক্রান্ত প্রায় ২০ হাজার, মৃত ৪১০

জয়পুরের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার অশোক গুপ্তা এদিন জানান, শনিবারই জ্যোতিনগর থানায় এফআইআর দায়ের হয়েছে। রাজস্থান হাইকোর্টের এক আইনজীবী অভিযোগটি দায়ের করেছেন।

পুলিশ কর্তা জানান, রামদেব করোনাভাইরাসের ওষুধ আবিষ্কারের দাবি করায়, যোগগোরুর বিরুদ্ধে একাধিক থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। যার জেরে পুলিশ রামদেব-সহ একাধিক জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে। মূল এফআইআরটি করেছেন আইনজীবী বলরম জাখর।

তিনি জানান, এই পাঁচ জনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির (Indian Penal Code) ৪২০ ধারা (প্রতারণা) ছাড়াও ড্রাগ অ্যান্ড ম্যাজিক রিমেডিস (আপত্তিকর বিজ্ঞাপন) আইনে মামলা হয়েছে।মামলাকারী আইনজীবী বলরাম জাখরের বক্তব্য, রামদাব ও তাঁর সহযোগীরা ‘কুমতলব’ থেকেই এমন একটা দাবি করেছেন। এটা অপরাধ।

২৩ জুন হরিদ্বারের পতঞ্জলি (Patanjali) রিসার্চ ইনস্টিটিউটে সাংবাদিক বৈঠক করেন রামদেব। সেখানে তিনি দাবি করেন, করোনভাইরাসের ওষুধ করোনিল (coronil) তাঁরা তৈরি করে ফেলেছেন। তিনি এ-ও দাবি করেন, কোভিড-১৯ পজিটিভদের এই ওষুধ দিলে, তিন দিনের মধ্যে তাঁরা সুস্থ হয়ে উঠবেন। রেজাল্ট নেগেটিভ আসবে।

রামদেবের করোনা প্রতিষেধকের দাবি আগেই খারিজ করে কেন্দ্র। বন্ধ রাখতে বলা হল করোনিলের বিজ্ঞাপন। পতঞ্জলি আয়ুর্বেদের তৈরি করোনা প্রতিষেধক প্রকাশ্যে আসার দিনই তার বিজ্ঞাপনী প্রচার বন্ধ রাখার নির্দেশ জারি করে কেন্দ্র। করোনিল নামে এই ওষুধ ও তার কম্পোজিশনের তথ্য চেয়েছে কেন্দ্রীয় আয়ুষ মন্ত্রক।

কিছু দিন হল, রামদেবের সঙ্গে যেন বিজেপির দহরম-মহরম খানিকটা কমেছে। রসায়ন কি তা অবশ্য পরিষ্কার নয়। কেন্দ্র এবং বিজেপি তাকে খুব একটা ব্যাক করছে না। কারও কারও মতে পতঞ্জলি নিয়েই যোগগুরুর সঙ্গে কেন্দ্র ও বিজেপির সম্পর্ক খারাপ হয়েছে।

আরও পড়ুন : ভারত চোখে চোখ রেখে উত্তর দিতে জানে, এত কিছুর পরও একই কথা নমোর গলায়

Gmail 6
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest