ভারত চোখে চোখ রেখে উত্তর দিতে জানে, এত কিছুর পরও একই কথা নমোর গলায়

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

The News Nest: নাম নিলেন না। কিন্তু কড়া ভাষায় চিনকে হুঁশিয়ারি দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জানালেন, কীভাবে লাদাখে ‘যারা’ ভারতীয় ভূখণ্ডের দিকে চোখ তুলে তাকিয়েছে, তাদের যোগ্য জবাব দেওয়া হয়েছে।

রবিবার নিজের মাসিক রেডিয়ো অনুষ্ঠান ‘মন কি বাত’-এ ভাষণ দেন মোদী। সেখানে লাদাখ-খনন ক্ষেত্র-আনলক-ইন্ডোর গেমসের মতো বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন। তবে শনিবার ভারতে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা যে ৫০০,০০০ পেরিয়েছে, তা নিয়ে তেমন কোনও উচ্চবাচ্য করলেন না। 

আরও পড়ুন : ভারত লাদাখে বসাচ্ছে শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র, নজরে চিনা যুদ্ধ বিমান

সেই অনুষ্ঠানে কী কী বললেন তিনি, দেখে নিন একনজরে – 

1. প্রায় সবাই বলছেন, এই বছরটা তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যাক। এটা অশুভ বছর ।

2. শুধু করোনা নয়, পূর্ব ভারতে আমফান, পশ্চিম ভারতে নিসর্গ, আবার দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছোটো ছোটো ভূমিকম্প হচ্ছে। আবার কোনও কোনও প্রতিবেশী দেশ সমস্যা করছে।

3. মুশকিল পরিস্থিতি আসতেই থাকে, সংকটও আসে। কিন্তু প্রশ্ন হল যে এই বিষয়গুলির জন্য ২০২০ সালকে আমাদের খারাপ বলে মেনে নেওয়া উচিত? প্রথম ছ’মাসের জন্যই কি মেনে নেব, সারা বছর এরকম যাবে? সেটা কি ঠিক? না একদমই নয়। এক বছরে একটি বিপদ আসুক বা ৫০ টি, সংখ্যাটা কম-বেশির জন্য ওই বছরটা খারাপ হয়ে যায় না।

4. লাদাখে ভারতের ভূখণ্ডের দিকে যারা চোখ তুলে তাকিয়েছে, তারা উপযুক্ত জবাব পেয়েছে। ভারত বন্ধুত্ব রক্ষা করতে জানে। ভারত চোখে চোখ রেখে উত্তর দিতেও জানে। আমাদের বীর জওয়ানরা দেখিয়ে দিয়েছেন, ভারতমাতার গৌরবের উপর কোনও দাগ পড়তে দেবেন না। লাদাখে আমাদের যে বীর জওয়ানরা শহিদ হয়েছেন, সারাদেশ তাঁদের নতমস্তকে সম্মান জানাচ্ছে। শ্রদ্ধা জানাচ্ছে। সারাদেশ তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞ। তাঁদের পরিবারের মতো সারাদেশ শোকাহত, দুঃখিত। দেশ আত্মনির্ভর হলেই জওয়ানদের প্রতি প্রকৃত সম্মান জানানো হবে।

5. আনলকের সময় এমন সব জিনিস আনলক হচ্ছে, যেগুলিতে দশকের পর দশক ধরে ভারতের দরজা রুদ্ধ হয়েছিল। দীর্ঘদিন ধরে আমাদের খনন ক্ষেত্র লকডাউনে ছিল। বেসরকারি নিলামের একটি সিদ্ধান্তে পরিস্থিতি পুরোপুরি পালটে গিয়েছে।

6. আপনারা কৃষিক্ষেত্রে দেখুন, এই ক্ষেত্রে এমন অনেক জিনিস ছিল। যা লকডাউনে আটকে ছিল। এই ক্ষেত্রকেও আনলক করে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে যেমন কৃষকরা নিজেদের ফসল যেখানে ইচ্ছা, যাঁর কাছে ইচ্ছা বিক্রি করার স্বাধীনতা মিলবে। অন্যদিকে, তাঁদের অধিক ঋণ পাওয়ার বিষয়টিও নিশ্চিত হয়েছে। এই সংকটের মধ্যেও অনেক ক্ষেত্রে এরকম একাধিক ক্ষেত্রে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিকাশের নয়া রাস্তা উন্মোচিত হচ্ছে।

7. আমাদের যুব প্রজন্ম এবং স্টার্ট-আপের সামনে নতুন সুযোগ আছে। আমরা ভারতের ঐতিহ্যবাহী ইন্ডোর খেলাগুলি নতুনভাবে এবং আকর্ষণীয়ভাবে তৈরি করি। সেগুলির সঙ্গে যুক্ত জিনিস সরবরাহকারী স্টার্ট আপগুলি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাবে। আমাদের এটা মনে রাখতে হবে, আমাদের ভারতীয় খেলাও তো লোকাল। আর লোকালের জন্য ভোকাল হওয়ার উদ্যোগ আগেই নিয়েছি আমরা।

8. আমার ছোটো বন্ধুদের কাছে একটি বিশেষ আর্জি করছি। তোমরা কথা রাখবে তো? আমি যা বলছি, তোমরাও কর। একটা কাজ কর, যখন ফাঁকা সময় পাবে, তখন বাবা-মা’কে বলে মোবাইল নিয়ে দাদু-ঠাকুমার ইন্টারভিউ রেকর্ড কর। নিজেদের মোবাইল ফোনে রেকর্ড কর।

আরও পড়ুন : ওরা রোম উপড়ে নিয়েছে, মাংস খুবলে অত্যাচার চালিয়েছে, থানায় মৃত্যু বাবা-ছেলের

Gmail 5
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest