কৃষি আইন নিয়ে ক্রমশ চাপ বাড়ছে। মৌখিক আশ্বাস সত্ত্বেও নিজেদের অবস্থানে অনড় কৃষকরা। তারইমধ্যে রবিবার সকালে আচমকা দিল্লির একটি গুরুদ্বারা গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে কিছুক্ষণ সময় কাটান। প্রার্থনা করেন।
আচমকাই রবিবার সকালে দিল্লির গুরুদ্বারা রাকাবগঞ্জে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সর্বোচ্চ ত্যাগের জন্য গুরু তেগ বাহাদুরকে শ্রদ্ধা জানান। শনিবার গুরু তেগ বাহাদুরের মৃত্যুবার্ষিকী ছিল।
আরও পড়ুন: আজ শান্তিনিকেতনে শাহ, বাউল বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজের পর অনুব্রতের গড়ে রোড শো
মোদী যাওয়ার গুরুদ্বারায় কোনও বাড়তি কড়াকড়ি করা হয়নি। সাধারণ দর্শনার্থীদের আটকানো হয়নি। কোনও ব্যারিকেডও করা হয়নি। নবম শিখগুরু গুরু তেগ বাহাদুরের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছিল। সেখানে প্রার্থনা করেন মোদী। গুরুদ্বারা থেকে বেরিয়ে ছবিও তোলেন মোদী।
ਤਿਲਕ ਜੰਵੂ ਰਾਖਾ ਪ੍ਰਭ ਤਾ ਕਾ ॥
ਕੀਨੋ ਬਡੋ ਕਲੂ ਮਹਿ ਸਾਕਾ ॥
ਧਰਮ ਹੇਤਿ ਸਾਕਾ ਜਿਨਿ ਕੀਆ ॥
ਸੀਸੁ ਦੀਆ ਪਰ ਸਿਰਰੁ ਨ ਦੀਆ ॥
??
ਅਜਿਹੇ ਸ੍ਰੀ ਗੁਰੂ ਤੇਗ ਬਹਾਦਰ ਸਾਹਿਬ ਜੀ ਦੇ ਚਰਨਾਂ ਵਿੱਚ ਗੁ. ਸ੍ਰੀ ਰਕਾਬ ਗੰਜ ਸਾਹਿਬ ਵਿਖੇ ਨਤਮਸਤਕ ਹੋਇਆ
ਗੁਰੂ ਜੀ ਨੇ ਹਿੰਦੂ ਧਰਮ ਦੀ ਰਾਖੀ ਕਰਦੇ ਹੋਏ ਆਪਣਾ ਆਪ ਵਾਰ ਕੇ ਸਰਬ-ਸਾਂਝੀਵਾਲਤਾ ਦਾ ਸੁਨੇਹਾ ਦਿੱਤਾ pic.twitter.com/zhHH1dscUw— Narendra Modi (@narendramodi) December 20, 2020
টুইটারে তিনি বলেন, ‘আজ সকালে গুরুদ্বারা রাকাবগঞ্জে প্রার্থনা করেছি। যেখানে শ্রী গুরু তেগ বাহাদুর জি’র পবিত্র দেহের শেষকৃত্য হয়েছিল। বিশ্বের লাখ লাখ মানুষের মতো আমি অত্যন্ত ধন্য হয়েছি বলে মনে করছি। শ্রী গুরু তেগ বাহাদুর জি’র মহত্বে আমি গভীরভাবে অনুপ্রাণিত হয়েছি।
কৃষি আইন প্রত্যাহার নিয়ে কেন্দ্রের উপর যখন ক্রমশ চাপ বাড়াচ্ছেন কৃষকরা, তখন দিল্লির অন্যতম জনপ্রিয় গুরুদ্বারায় মোদী যাওয়ার বিষযটি বাড়তি মাত্রা যোগ করেছে। কারণ কৃষি আইন নিয়ে বিক্ষোভ মূলত শুরু হয়েছিল পঞ্জাব এবং হরিয়ানা থেকে। যা ক্রমশ দেশের অন্য প্রান্তেও ছড়িয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন: ভাত-ডাল-আলুপোস্ত…আজ বাউল-বাড়িতে শাহের পাতে আর কী কী থাকবে?