অমিত শাহের পুলিশের হাতে গৃহবন্দি ‘কৃষক সমব্যথী’ কেজরী! দাবি আপের

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

গৃহবন্দি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ! সোমবার সিংঘু সীমানায় কৃষকদের সঙ্গে দেখা করে কৃষক আন্দোলনে সমর্থন জানিয়েছিলেন দিল্লির মুখমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ৷ এরপর থেকেই কেজরিওয়ালকে গৃহবন্দি করে রেখেছে দিল্লি পুলিশ বলে ট্যুইট করে জানিয়েছে আপ ৷ কাউকেই তাঁর বাড়িতে প্রবেশ করতে বা বেরোতে দেওয়া হচ্ছে না বলে জানানো হয়েছে ৷

দিল্লিতে চার ঘণ্টাব্যাপী চাক্কা জ্যাম শুরু হওয়ার আগে এ দিন সকালে আপের টুইটার হ্যান্ডল থেকে কেজরির গৃহবন্দি হওয়ার বিষয়টি সামনে আনা হয়। লেখা হয়, ‘বিজেপির দখলে থাকা দিল্লি পুলিশ মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গৃহবন্দি করেছে। কারণ গতকালই সিঙ্ঘু সীমানায় আন্দোলনকারী কৃষকদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন উনি। এই মুহূর্তে ওঁর বাসভবনে কারও প্রবেশ এবং সেখান থেকে বেরিয়ে আসার অনুমতি নেই’।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনেই রয়েছে দিল্লি পুলিশ। তাই অমিত শাহের নির্দেশেই কেজরিওয়ালকে গৃহবন্দি করা হয়েছে বলে অভিযোগ আপ নেতৃত্বের। যদিও এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে দিল্লি পুলিশ। উত্তর দিল্লির ডিসিপি অ্যান্টো আলফোনসে বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীকে গৃহবন্দি করা হয়নি। ওঁর বাসভবনের সামনে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে মাত্র, যাতে আপের সঙ্গে অন্য কোনও দলের সংঘর্ষ না বাধে।’’

আরও পড়ুন: ভ্যাকসিন নেওয়া সত্ত্বেও করোনা আক্রান্ত হলেন হরিয়ানার স্বাস্থ্যমন্ত্রী অনিল ভিজ

কিন্তু পুলিশের যুক্তি খারিজ করেছে আপ। তাদের অভিযোগ, রাজধানীর তিন মেয়রকে কেজরির বাসভবনের সামনে এনেছে পুলিশ। তাঁদের দিয়ে ইচ্ছাকৃত ভাবে বিক্ষোভ করানো হচ্ছে, যাতে মুখ্যমন্ত্রীকে গৃহবন্দি করার পিছনে যুক্তি সাজানো যায়।  সেই মতো ব্যারিকেড দিয়ে বাসভবনের সামনের অংশটুকু ঘিরে ফেলা হয়েছে। পরিস্থিতির দোহাই দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সমস্ত কর্মসূচিও বাতিল করা হয়েছে।

বিগত ২৩ দিন ধরে রাজধানী দিল্লি এবং সংলগ্ন পঞ্জাব ও হরিয়ানা সীমান্তে কেন্দ্রীয় আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষকরা। মঙ্গলবার সিঙ্ঘু সীমানায় আন্দোলনকারী কৃষকদের পাশে গিয়ে দাঁড়ান কেজরি। তা নিয়ে বিজেপির তোপের মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, আইন চালু হওয়ার পর তা কার্যকরী করতে বিজ্ঞপ্তিও জারি করে দিয়েছিল কেজরি সরকার। কিন্তু হাওয়া অন্য দিকে বইতে দেখে অবস্থান পাল্টে ফেলেন তিনি। পঞ্জাবে দলের ভোটব্যাঙ্কের কথা মাথায় রেখেই কৃষকদের প্রতি লোকদেখানো দরদ দেখাতে ছুটে গিয়েছেন।

আরও পড়ুন: কৃষক বন্‌ধে ভাল সাড়া, রেল-রাস্তা অবরোধে দেশজুড়ে থমকাল জনজীবন

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest