এবার বাজারে আসছে অ্যান্টিবডি সনাক্তকরণ কিট ‘ডিপকোভ্যান’

ডিআরডিও-র বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই টেস্ট কিটে কোভিড সংক্রমণ চিহ্নিত করতে ৭৫ মিনিট সময় লাগবে।
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

করোনা পরীক্ষার নতুন কিট আনছে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা (ডিআরডিও)। রক্তে অ্যান্টিবডির পরিমাণ দেখে কোভিড সংক্রমণ শণাক্ত করবে এই টেস্ট কিট। লাগবে সেরো সার্ভের জন্যও। সাধারণ মানুষের জন্য খুব কম দামে এই টেস্ট কিট বাজারে আনছে ডিআরডিও।

এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই করোনা মোকাবিলায় নতুন আশার আলো দেখছে স্বাস্থ্য মন্ত্রকও। ডিআরডিও-র ডিফেন্স ইনস্টিটিউট অফ ফিজিওলজি অ্যান্ড অ্যালাইড সায়েন্সেসের (ডিআইপিএএস) তরফেই এই বিশেষ কিট তৈরি করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে দিল্লি ভিত্তিক উন্নয়ন ও উৎপাদন ডায়াগনস্টিক সংস্থা ভ্যানগার্ড ডায়াগনস্টিকস প্রাইভেট লিমিটেডও। এদিকে সঙ্কটকালে ডিআরডিও-র এই প্রচেষ্টার জন্য সাধুবাদ জানিয়েছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং।

আরও পড়ুন: সম্বিতের টুলকিট-টুইট ‘ম্যানিপুলেটেড’, কংগ্রেসকে তোপ দাগতে গিয়ে মুখ পুড়ল BJP-র

এদিকে গবেষকরা বলছেন ডিপকোভ্যান কিটটি ৯৭ শতাংশ উচ্চ সংবেদনশীলতা এবং প্রায় ৯৯ শতাংশ নিশ্চয়তার সঙ্গে SARS-CoV-2 ভাইরাসের স্পাইক ও নিউক্লিওক্যাপসিড (এস অ্যান্ড এন) প্রোটিন উভয়কেই সনাক্ত করতে পারে। এদিকে এই অ্যান্টিবডি সনাক্তকরণ কিটটি এই বছরের এপ্রিলে আইসিএমআর দ্বারা অনুমোদিত হয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে। তবে এর ট্রায়াল চলছিল গত বছরের শেষার্ধ থেকেই।

ডিআরডিও-র বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই টেস্ট কিটে কোভিড সংক্রমণ চিহ্নিত করতে ৭৫ মিনিট সময় লাগবে। একটি কিট প্রায় ১৮ মাস চলবে। প্রতিটির দাম পড়বে ৭৫ টাকা। ডিআরডিওর তরফে জানানো হয়েছে, হাসপাতালগুলিতে এই টেস্ট কিট পৌঁছে দেওয়া হবে। তাছাড়া কোন এলাকায় সংক্রমণের হার বেশি, কতজন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন জানার জন্য সেরো সার্ভে করতেও এই টেস্ট কিট কাজে আসবে।

ডিআরডিওর তৈরি অ্যান্টিবডি কিটের নাম ডিপকোভান (DIPCOVAN) । অ্যান্টিবডি টেস্ট কিট র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন কিটের থেকে কিছুটা আলাদা। র‍্যাপিড টেস্টে লালারসের নমুনা নিয়ে করোনা পরীক্ষা করা হয়। অ্যান্টিবডি কিটে রক্তের নমুনা নিয়ে প্লাজমায় অ্যান্টিবডির পরিমাণ মাপা হয়। এই টেস্ট কিটে আঙুল থেকে সামান্য রক্তের নমুনা নিয়ে অ্যান্টিবডি টেস্ট করা হবে। রোগীর রক্তে কী পরিমাণ অ্যান্টিবডি রয়েছে তার পরিমাণ নির্ণয় করেই সংক্রমণ পরীক্ষা করা হবে। ভাইরাসের সংক্রমণ হলে শরীর তার প্রতিরোধে অ্যান্টিবডি তৈরি করা শুরু করে। সাধারণত দেখা যায় সংক্রমণের দু’সপ্তাহ পর থেকে অ্যান্টিবডি তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়। শরীরে এই অ্যান্টিবডির খোঁজ মিললেই নিশ্চিত হওয়া যায় যে রোগী কোভিড পজিটিভ। অ্যান্টিবডির পরিমাণ দেখে সংক্রমণ কতটা ছড়িয়েছে সেটাও ধরা যায়। এই টেস্ট কিট সেই কাজটাই করবে। তাছাড়া কোনও রোগী উপসর্গহীন হলে এই টেস্ট কিটের পরীক্ষায় বোঝা যাবে শরীরে সংক্রমণ রয়েছে কিনা।

আরও পড়ুন: সুরক্ষাবিধি ছাড়াই কুম্ভ মেলা–চারধাম, উত্তরাখণ্ড সরকারকে তীব্র ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest