পুলিশের জলকামান বন্ধ করে হিরো অম্বালার নভদীপ, দায়ের হল ‘খুনের চেষ্টা’ অভিযোগ

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

কৃষি বিল বাতিলের দাবিতে পঞ্জাব-হরিয়ানা থেকে দিল্লির উদ্দেশে মিছিল করেন কৃষকরা। বিক্ষোভরত কৃষকদের দিল্লি ঢোকা আটকাতে বিভিন্ন জায়গায় জলকামান দাগিয়েছে ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়েছে পুলিশ। শুক্রবার হরিয়ানার অম্বালাতে এ রকমই এক বিক্ষোভে জলকামান চালাচ্ছিল পুলিশ। তখন বিক্ষোভকারী কৃষকদের মধ্যে থেকে এক যুবক জলকামানের উপর ওঠে তা বন্ধ করে দেন। সেই ঘটনার ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে। তাঁর পরই নেটাগরিকদের কাছে ‘হিরো’র সম্মান পাচ্ছেন ওই যুবক।

এ যেন বলিউডের ছবির কোনও দৃশ্য। কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কৃষক সংগঠনগুলির ডাকে দিল্লি যাওয়ার সময় হরিয়ানাতে আটকানো হয়েছে কৃষক মিছিলকে। ছত্রভঙ্গ করতে ব্যবহার করা হচ্ছে জলকামান। আর ঠিক তখনই দেখা গেল এই দৃশ্য। পুলিশের লাঠিকে উপেক্ষা করে সেই জলকামানে চেপে পড়লেন এই যুবক। তারপর তা বন্ধ করে দিলেন। ততক্ষণে তাঁকে ধরার জন্য গাড়ির উপর উঠে এসেছেন এক পুলিশ। কিন্তু ধরার আগেই সেই গাড়ি থেকে এক লাফে একটি ট্রাক্টরে গিয়ে পড়লেন তিনি। এই কাজের জন্য তাঁর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেছে হরিয়ানা পুলিশ।  এতে ক্ষোভ বেড়েছে আন্দোলনকারী এবং নেটাগরিকদের মধ্যে।

জানা গিয়েছে, ওই যুবকের নাম নবদীপ সিং। বাড়ি হরিয়ানার আম্বালাতে। এক কৃষক সংগঠনের নেতা জয় সিংয়ের ছেলে নবদীপ। ২৬ বছরের নবদীপের এই কাজকে সমর্থন করেছে নেটিজেনদের অনেকেই। ঠান্ডার মধ্যে যেভাব জলকামান দিয়ে কৃষকদের ছত্রভঙ্গ করা হচ্ছিল তাতে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তাঁরা। রাতারাতি কৃষকদের কাছে হিরোতে পরিণত হয়েছেন তিনি। কিন্তু সেই সঙ্গে পুলিশ প্রশাসনের কাছে তিনি অপরাধী হয়ে উঠেছেন।

https://twitter.com/mistryofficial/status/1332198540693553154?ref_src=twsrc%5Etfw%7Ctwcamp%5Etweetembed%7Ctwterm%5E1332198540693553154%7Ctwgr%5E%7Ctwcon%5Es1_&ref_url=https%3A%2F%2Fwww.anandabazar.com%2Fnational%2Ffarmer-protest-after-turning-off-water-cannon-of-navdeep-become-hero-to-netizens-dgtl-1.1235457

আরও পড়ুন:  ফের আটক তিনি, গৃহবন্দি মেয়ে ইলতিজাও, টুইট করে জানালেন মেহবুবা

সূত্রের খবর, নবদীপের বিরুদ্ধে কোভিড ১৯ নিয়ম ভাঙা ও দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টার অভিযোগও আনা হয়েছে। এই অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হলে সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন সাজা হতে পারে তাঁর।

একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে নবদীপ জানিয়েছেন, “আমার পড়াশোনা শেষ হওয়ার পরে আমি বাবার সঙ্গে চাষবাস শুরু করি। আমার বাবা একজন কৃষক নেতা। আমি কোনও দিন কোনও বেআইনি কাজ করিনি। কিন্তু যেভাবে প্রতিবাদীদের উপর জলকামানের ব্যবহার হচ্ছিল সেটা সহ্য করতে না পেরে আমি সাহস করে এই কাজ করেছি। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল করছিলাম। দিল্লির দিকে যাওয়ার রাস্তা চাইছিলাম আমরা। সরকারকে প্রশ্ন করার সব অধিকার আমাদের রয়েছে। যদি কোনও মানুষ-বিরোধী আইন পাশ হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার অধিকার আমাদের রয়েছে।”

বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে যেভাবে বারবার বল প্রয়োগ করা হচ্ছে তাতে হরিয়ানা ও দিল্লি পুলিশ সমালোচনার সামনে পড়েছে। চারদিক দিয়ে কার্যত দুর্গের চেহারা নিয়েছে দিল্লি। মিছিল আটকাতে ব্যারিকেড, কাঁটাতারের ব্যারিকেড, কংক্রিটের ব্লক সব করা হয়েছে। মোতায়েন রয়েছে হাজার হাজার পুলিশ। তার মধ্যেই দিল্লি পৌঁছেছেন কৃষকরা। নিজেদের আন্দোলন থেকে সরতে নারাজ তাঁরা।

প্রসঙ্গত, আন্দোলনকারী কৃষকদের ছত্রভঙ্গ করতে হরিয়ানা বিজেপি সরকারের পুলিশ গত ২ দিন ধরে যা করেছে তা নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে দেশের বিভিন্ন মহলে। কোথাও লাঠিচার্জ, কোথাও জলকামান দাগা বা কোথাও কাঁদানে গ্যাস ছোড়া। আন্দোলন রুখতে হরিয়ানা পুলিশের এই আচরণ ক্ষুব্ধ বিভিন্ন মহল।

আরও পড়ুন: তান্ত্রিকের পরামর্শে বাতিল নোট কিনে পুজো যুবকের, তারপর কি হল জেনে নিন

 

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest