কোভিডের তৃতীয় ঢেউ যে আসন্ন এ আশঙ্কা আগেই করা হয়েছিল। তবে এবার সেই সতর্কবার্তা দেওয়া হল কেন্দ্রের তরফে। চিকিৎসক এবং বিজ্ঞানী কে বিজয়রাঘবন বুধবার একটি সরকারি বিবৃতি প্রকাশ করে বলেছেন, “এখন ভাইরাস যে হারে ছড়িয়ে পড়ছে, সেখানে স্পষ্ট সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ আসতে আর বেশি দেরি নেই। তবে কবে এবং কী ভাবে এই ঢেউ আছড়ে পড়বে তা এখনও স্পষ্ট নয়’।
এর আগেই স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও গবেষকরা আগাম সতর্কবার্তা দিয়েছিল করোনা তৃতীয় ঢেউ নিয়ে। বলা হয়েছিল করোনাভাইরাসের নতুন মিউট্যান্টের দাপটে তীয় ঢেউ কোনও মতেই আটকানো যাবে না। জুন-জুলাই মাসে এই ঢেউ আছড়ে পড়ার কথা জানিয়েছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: রামমন্দির দেখিয়েও বারাণসী-অযোধ্যায় শোচনীয় পরাজয় বিজেপির
সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ আটকানো না গেলেও প্রতিরোধ করা যেতে পারে টিকার মাধ্যমে। যদিও সেক্ষেত্রে আরও উন্নত ভ্যাকসিনের প্রয়োজন রয়েছে বলেই জানান হয়েছে। কারণ আসন্ন এই ঢেউ হতে চলেছে অপ্রতিরোধ্য। এখনও কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের দাপটে টালমাটাল দেশ। অক্সিজেনের অভাবে, হাসপাতালে শয্যা না পেয়ে প্রতিদিন দেশে বাড়ছে মৃত্যু।
বিজয় রাঘবন বিবৃতিতেও এও বলেন, “ভাইরাসের যে নতুন প্রকারভেদ দ্রুত সংক্রমণ ছড়াচ্ছে, সেটিকে রুখতে গেলে টিকা আরও উন্নত করতে হবে। তবে এর মাধ্যমে তৃতীয় ঢেউ ঠেকানো যাবে কি না সে বিষয়ে কেন্দ্রীয় বিশেষজ্ঞেরা নিশ্চিত নন কেউই।
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার বিচারপতি চন্দ্রচূড় দিল্লিতে অক্সিজেনের আকাল নিয়ে মামলার শুনানিতে কেন্দ্রকে নির্দেশ দেন, “আমরা তৃতীয় ঢেউয়ের জন্য এখন থেকে প্রস্তুতি নিলে আমরা ঠেকাতে পারব। যা সামগ্রী মজুত রয়েছে সেটা হাসপাতালে পাঠাতে হবে। শুধু রাজ্যকে পাঠালেই হবে না, যাতে সব হাসপাতাল পায় সেরকম পরিবহণের ব্যবস্থা করতে হবে।”
এদিন তিনি কেন্দ্রকে প্রশ্ন করেন, “অক্সিজেন সরবরাহ বাড়াতে সমস্যা কোথায় হচ্ছে, যদি প্রয়োজনে না লাগে সেটা তো মজুত করে রাখা যেতে পারে! তখন না হয় বলা যাবে, দিল্লিতে অক্সিজেন নিয়ে আতঙ্কের কারণ নেই। এটা দিল্লির জন্য স্টকে থাকবে।”
আরও পড়ুন: ভোট মিটতেই টানা ৩ দিন কলকাতা-সহ দেশের ৪ বড় শহরে বাড়ল পেট্রল, ডিজেলের দাম