নয়াদিল্লি: ফের ভারত-চিন সীমান্তে উত্তেজনা দেখা দিল। শনিবার উত্তর সিকিমের নাকুলায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন দুই দেশের জওয়ানরা। হাতাহাতি এবং ঘুঁষোঘুঁষিতে দু’পক্ষের বেশ কয়েক জন আহতও হন। তবে সংঘর্ষ বড় আকার ধারণ করেতে পারেনি। স্থানীয় স্তরেই শেষ পর্যন্ত ঝামেলা মিটে যায় বলে জানা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, নাকু লা সেক্টরে সড়ক পরিবহণ নেই। হেলিকপ্টারে করে এই জায়গায় যোগাযোগ রাখে ভারতীয় সেনা। আর শনিবার সেখানেই পেট্রোলিং চালাচ্ছিল দুদেশের বাহিনী। সেই সময়ই শুরু হয় ঝামেলা। পরে তা রীতিমতো হাতাহাতিতে পৌঁছয়। যদিও একটা মহল থেকে দাবি করা হয়েছে, কেবলমাত্র কথাতেই পুরো বিষয়টি থেমে যায়। হাতাহাতি হয়নি। যদিও বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমের দাবি, দুই সেনা বাহিনীর বেশ কিছু জওয়ান আহত হয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেনাবাহিনীর দুই আধিকারিক এই ঘটনার কথা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করেছেন। তাঁরা জানান, মুগুথাং পেরিয়ে ৫ হাজার ফুট উচ্চতায় নাকুলা সেক্টরে দু’পক্ষের প্রায় ১৫০ জওয়ানের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। তাতে ৪ ভারতীয় জওয়ান ও চিনা বাহিনীর ৭ জন আহত হন।
আরও পড়ুন: ‘আমি সম্পূর্ণ সুস্থ, রোগে ভুগছি না’, ভুয়ো পোস্টের টুইটে জবাব অমিত শাহের
তবে ভারত ও চিনা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা নতুন নয়। ২০১৭-র অগস্টে লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে প্যাংগং লেক এলাকায় পরস্পরের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন দু’পক্ষের জওয়ানরা। ঘুঁষোঘুঁষির পাশাপাশি একে অপরকে লক্ষ্য করে পাথরও ছোড়া হয় উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে ডোকলামে ৭০ দিন ধরে ভারত-চিন সেনার সংঘাত বেধেছিল। ভুটানের এই বিতর্কিত জায়গাকে নিজেদের বলে দাবি করে চিন। সেখানে রাস্তা তৈরি করার নামে ঘাঁটিও গাড়ে তাঁরা। যদিও পালটা জবাব দিতে সময় নেয়নি ভারতীয় সেনা। দুদেশের সেনাই সেই সময় ৭০ দিন মুখোমুখি দাঁড়িয়েছিল।
তবে, সেনা সূত্রের খবর, নাকু লা সেক্টরে সাধারণত কোনও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে না। মুগুথাং এলাকার কাছে অবস্থিত এই সেক্টর শান্তিপূর্ণ এলাকা নামেই পরিচিত। সেখানেই শনিবার বিবাদে জড়াল দুদেশের সেনা।
আরও পড়ুন: বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য সুস্থ আছেন, জল্পনা উড়িয়ে বিবৃতি সূর্যকান্ত মিশ্রর