নয়াদিল্লি: ফের জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মঙ্গলবার রাত ৮ টা নাগাদ তিনি জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিলেন। আর সেখানেই তিনি স্পষ্ট করে দিলেন, লকডাউন বাড়বে। তবে ফের তা কতদিনের জন্যে, এখনই তিনি তা জানাননি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “করোনা দীর্ঘ দিন ধরে আমাদের সঙ্গে থাকবে। কিন্তু আমরা এমন চলতে দিতে পারি না যে আমাদের জীবন করোনাকে ঘিরে আবর্তিত হয়। তাই আমরা মাস্ক পরব। পারস্পরিক ২ গজ দূরত্ব রেখে চলব। কিন্তু এগোবও। তাই লকডাউনের চতুর্থ পর্যায় অন্য রকম হবে। অন্য রং ও রূপের হবে। তা ১৮ তারিখের আগে ঘোষণা করা হবে।”
১৭ মে শেষ হচ্ছে তৃতীয় দফার লকডাউন। দেশজুড়ে লকডাউনের ৪৯তম দিনে প্রধানমন্ত্রী জানালেন আরও বাড়বে মেয়াদ। তবে সেটা কতদিনের সেটা বললেন না। রহস্য জিইয়ে রাখলেন। নরেন্দ্র মোদী এদিন জানিয়েছেন, ১৮ মে থেকে শুরু হতে যাওয়া চতুর্থ দফার লকডাউনের দিনক্ষণ জানিয়ে দেওয়া হবে পরে। তবে এই লকডাউন নতুন রং ও রূপের হবে বলে দাবি করেছেন তিনি। কিন্তু সেটা ঠিক কী ও কেমন তা এদিন স্পষ্ট করেননি। তার গাইডলাইন কেমন হবে তাও বলেননি। জানিয়েছেন, ১৮ তারিখের আগেই সব জানিয়ে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: পাঁচটি স্তম্ভে ভিত্তি করে দিনবদলের ডাক দিলেন প্রধানমন্ত্রী, জেনে নিন কি কি…
এদিন প্রধানমন্ত্রী ২০ লক্ষ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করলেও তার বিস্তারিত জানাননি। একটা ধারণা দিয়েছেন মাত্র। আশা করা হচ্ছে অর্থমন্ত্রক এর পরে সে ব্যাপারে বিস্তারিত জানাবে। তবে এদিন প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে সিংহভাগ জুড়েই ছিল ‘আত্মনির্ভর’ ভারত গঠনের সঙ্কল্পের কথা।
দেশে লকডাউন যে বাড়বে সে ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল, সোমবার সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকেই। সেখানে অনেক রাজ্যই লকডাউন বাড়ানোর পক্ষে মত দেয়। মহারাষ্ট্র, গুজরাত, তামিলনাড়ু, দিল্লি সহ বহু রাজ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা রোজই বাড়ছে। ফলে সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠকে অধিকাংশ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীই দাবি জানিয়েছেন, ১৭ মে-র পর চতুর্থবারের জন্য লকডাউনের মেয়াদ ফের বাড়ানো হোক। অনেকে আবার বলেছেন, শুধু কনটেনমেন্ট জোন বাদ রেখে বাকি জায়গায় লকডাউন তুলে নেওয়া হোক। সেই বৈঠকেই প্রধানমন্ত্রী ১৫ মে-র মধ্যে সব রাজ্যকে লিখিত ভাবে পরামর্শ জানাতে বলেন। এদিন প্রধানমন্ত্রীর জাতির উদ্দেশে বক্তৃতায় এটা স্পষ্ট হল যে, লকডাউন এখনও কতদিন চালানো হবে সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সব রাজ্যের লিখিত পরামর্শ দেখে নিতে চাইছে কেন্দ্র।
আরও পড়ুন: করোনার জেরে বাড়তে পারে বাসের ভাড়া, তেমনই ইঙ্গিত মিলল মুখ্যমন্ত্রীর কথায়