লকআপে আটকে রেখে ১০ দিন ধরে গণধর্ষণ! কাঠগড়ায় পাঁচ পুলিশকর্মী

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

হাথরাস কাণ্ডের (Hathras Case) পর উত্তরপ্রদেশের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বিস্তর লেখালেখি হয়েছে। আলোচনা হয়েছে। কিন্তু আরেক বিজেপি (BJP) শাসিত রাজ্য মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) ছবিটাও বিশেষ আলাদা কিছু নয়। নারী নির্যাতন, ধর্ষণের ঘটনা সেখানেও নিত্যনৈমিত্তিক। সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে এমনই এক ঘটনা যা চূড়ান্ত বর্বরতার চূড়ান্ত নিদর্শন। এক মহিলাকে টানা ১০ দিন থানায় আটকে রেখে গণধর্ষণের অভিযোগ। তাও আবার পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে।

শিবরাজ সিং চৌহানের (Shivraj Singh Chouhan) রাজ্যের এই ঘটনা রীতিমতো আলোড়ন ফেলে দিয়েছে। ওই মহিলা জানিয়েছেন, প্রায় ১০ দিন ধরে তার উপর অত্যাচার চালিয়েছেন দুই অফিসার-সহ মোট ৫ পুলিশকর্মী। মধ্যপ্রদেশের রীওয়া জেলার মনগওয়াঁতে ঘটেছে এই ঘটনা। অভিযোগ সামনে আসার পরই পুলিশের ভূমিকা বড়সড় প্রশ্নের মুখে।

ওই মহিলার বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ রয়েছে। এখন তিনি জেল হেফাজতে রয়েছেন। ১০ অক্টোবর ওই জেলে পরিদর্শনে গিয়েছিলেন অতিরিক্ত জেলা বিচারক ও আইনজীবীদের একটি দল। তখনই পুলিশের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগ জানান ওই মহিলা। তার পরই জেলা বিচারক বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। ঘটনায় পদক্ষেপ করার জন্য রীওয়ার পুলিশ সুপার রাকেশ সিংহকে চিঠিও দিয়েছেন তিনি।  যদিও সেই চিঠি এখন হাতে পাননি বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।

আরও পড়ুন: চাপের মুখে মাথা নোয়ালে চলবে না, বললেন সুপ্রিম কোর্টের এই বিচারপতি

ওই মহিলার অভিযোগ, তাঁকে গ্রেফতার করে রাখা হয়েছিল লক আপে। ৯ মে থেকে ২১মে-র মধ্যে তাকে একাধিকবার গণধর্ষণ করেন পুলিশকর্মীরা। তিন কনস্টেবল ছাড়াও ছিলেন থানার স্টেশন ইনচার্জ এবং এসডিপিও। সে সময় এক জন মহিলা কনস্টেবল প্রতিবাদ করলে তাঁকেও ধমক দেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছে অভিযোগকারিণী। যদিও পুলিশের দাবি, ২১ মে গ্রেফতার করা হয়েছিল ওই মহিলাকে।

জেল পরিদর্শনে যাওয়া দলের সদ্য আইনজীবী সতীশ মিশ্র ঘটনা নিয়ে বলেছেন, ‘‘আমরা তাঁকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, এই ঘটনার কথা কেন আগে বলেননি। উত্তরে তিনি জানান, জেলের ওয়ার্ডেনকে ৩ মাস আগে ঘটনার কথা জানিয়েছিলেন তিনি। ওয়ার্ডেনও সেই কথা স্বীকার করেছেন।’’ রীওয়ার জেলা বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রাজেন্দ্র পাণ্ডে বলেছেন, ‘‘জেলা বিচারকের কাছে পেশ করার আগে নির্যাতিতার বয়ান নথিভুক্ত করা হয়েছে। ১৪ অক্টোবর বিচারক বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন ও পুলিশ সুপারকে চিঠি দিয়েছেন।’’

আরও পড়ুন: দেবীপক্ষে বিরাট দুঃসংবাদ! বঙ্গে গোষ্ঠী সংক্রমণের কথা মেনে নিলেন কেন্দ্র

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest