সুদ বেশি মেলায় NSC-তে টাকা জমান মোদীও, জানুন আর কী কী সুবিধা মেলে এই সরকারি প্রকল্পে

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

স্টেট ব্যাঙ্কে ফিক্সড ডিপোজিট করলে সাধারণ ভাবে ৫ বছর পর্যন্ত সুদের হার ৫.৩০ শতাংশ। সিনিয়র সিটিজেন হলে তা অবশ্য খানিকটা বেশি, ৫.৮০ শতাংশ।কিন্তু ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেটস বা এনএসসি থেকে সুদ পাওয়া যাচ্ছে ৬.৮ শতাংশ হারে। অনেকের মতে, এতে দু’রকম লাভ রয়েছে। সুদের হার বেশি। ৮০ সি ধারায় আয়কর ছাড়ের সুবিধাও রয়েছে। ঠিক সে কারণেই কিনা জানা নেই, তবে এটা বাস্তব যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এনএসসিতে সঞ্চয় করেছেন ৮ লাখের বেশি টাকা।

২০২০ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত নিজের মোট সম্পত্তির যে হিসেব মোদী পেশ করেছেন, তাতেই দেখা গিয়েছে এনএসসি-তে তাঁর বিনিয়োগ ৮ লাখ ৪৩ হাজার ১২৪ টাকা। পোস্ট অফিসের এই প্রকল্পে বিনিয়োগ করলে আয়করের ছাড় যেমন পাওয়া যায়, তেমন সুদের হারও বেশি। জেনে নেওয়া যা্‌ আর কী কী কারণে এনএসসি বিনিয়োগ ও সঞ্চয়ের জন্য নিরাপদ বলে মনে করা হয়।

এনএসসি-তে বিনিয়োগ করলে তা ম্যাচিওর হয় ৫ বছরে। আগে একটি ১০ বছরের প্রকল্প থাকলেও এখন সেটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। প্রতি বছর কেন্দ্রীয় সরকার এই প্রকল্পের সুদের হার ঘোষণা করে। এখন বার্ষিক সুদের হার ৬.৮ শতাংশ। বছরে একবার সুদের হিসেব করা হয় এবং সুদ-সহ বিনিয়োগের অর্থ ফেরৎ পাওয়া যায় ম্যাচিউরিটির পরে। তার আগে বিনিয়োগ বা সুদের টাকা ফেরৎ পাওয়া যায় না। অর্থাৎ, এনএসসি-র লক-ইন পিরিয়ড ৫ বছর। ম্যাচিউরিটির পরে আরও ৫ বছরের জন্য বিনিয়োগ করে দেওয়া যায়।

আরও পড়ুন: ভেসে যাচ্ছে মানুষ, ভাসছে গাড়ি! দেওয়াল ভেঙে মৃত ৯, বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হায়দরাবাদ

এই প্রকল্পে সবচেয়ে কম এক হাজার টাকা বিনিয়োগ করা যায়। বিনিয়োগের কোনও ঊর্ধ্বসীমাও নেই। আয়কর আইনের ৮০ সি ধারায় এনএসসি-তে বিনিয়োগের উপরে ছাড় পাওয়া যায়। তবে দেড় লাখ টাকার উপরের অঙ্কের বিনিয়োগের জন্য সেই ছাড় মেলে না। আরও একটা বিষয় হল, এনএসসি থেকে প্রাপ্ত সুদ কর যোগ্য আয়।

এনএসসি কোনও ব্যক্তি একা যেমন কিনতে পারেন, তেমন যৌথ ভাবেও কেনা যায়। দশ বছরের বেশি বয়সের শিশুর নামেও এনএসসি-তে বিনিয়োগ করা যায়। তবে শুধুমাত্র ভারতে বসবাসকারীদের জন্যই এই প্রকল্প। এখন এনএসসি-র অষ্টম ইস্যু চলছে। তাতে অনাবাসীরাও যেমন বিনিয়োগ করতে পারবেন না, তেমনই হিন্দু অবিভক্ত পরিবারকেও বিনিয়োগের অনুমতি দেওয়া হয়নি।

এই প্রকল্পের আরও একটি সুবিধা হল, ম্যাচিউরিটির আগে অন্য কারও নামে তা ট্রান্সফার করা যায়। সুদের ক্ষেত্রে আরও একটা সুবিধা রয়েছে। যে সময়ে সার্টিফিকেট কেনা হচ্ছে তখন যে সুদের হার, তাই বজায় থাকবে। পরে সুদ কমলে বা বাড়লে তার প্রভাব পড়বে না। এনএসসি-র সার্টিফিকেট জমানত রেখে ঋণ পাওয়ারও সুবিধা রয়েছে।

আরও পড়ুন: হাতির পিঠে চেপে যোগব্যায়াম রামদেবের! উল্টে পড়তেই হাসির রোল নেটদুনিয়ায়

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest