স্যানিটাইজার ঢেলে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে মারা হল ২ সাংবাদিককে,গ্রেফতার ৩

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

যোগী রাজ্যে সাংবাদিক হত্যা এখন ট্রেন্ড। গত সপ্তাহে উত্তরপ্রদেশের এক সাংবাদিক ও তাঁর বন্ধুকে স্যানিটাইজার দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে পুড়িয়ে মেরে ফেলা হয়েছিল। গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান-সহ তিনজন হামলাকারীকে সোমবার গ্রেফতার করল পুলিশ।

রাষ্ট্রীয় স্বরূপ নামে লখনউয়ের একটি স্থানীয় স্থানীয় পত্রিকার সাংবাদিক রাকেশ সিংহ নির্ভিক(৩৭)। তাঁর বাড়ি বলরামপুরে। শুক্রবার তাঁর বাড়িতে এসেছিলেন তাঁর বন্ধু পিন্টু সাহু (৩৪)। অভিযোগ, ওই দিন স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানের ছেলে-সহ তিন জন রাকেশের বাড়িতে ঢুকে রাকেশ ও পিন্টুর গায়ে স্যানিটাইজার ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় পিন্টুর। রাকেশকে লখনউয়ের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কয়েক ঘণ্টা পর তিনি মারা যান।

আরও পড়ুন: বাড়ছে কৃষক আন্দোলনের উত্তাপ, আজ আলোচনার জন্য ডাকল কেন্দ্র, বৈঠকে নেতৃত্ব দেবেন রাজনাথ

সোমবার রাতে পুলিশ জানায়, বলরামপুরের ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে রিঙ্কু মিশ্র, পঞ্চায়েত প্রধানের ছেলে মূল অভিযুক্তও রয়েছে। অন্য দুই অভিযুক্ত আক্রমের বিরুদ্ধে খুন-সহ একাধিক অপরাধের মামলা রয়েছে। আক্রমের এক বন্ধু ললিত মিশ্রকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।

মৃত্যুর আগে দেওয়া শেষ জবানবন্দিতে হাসপাতালকে রাকেশ জানিয়েছেন, তিনি নিয়মিতভাবে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান ও তাঁর ছেলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে লিখতেন সংবাদপত্রে। আড়াই মিনিটের ভিডিয়োয় তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘সত্য খবরের রিপোর্টিং করার এটাই হল মূল্য।’

বলরামপুরের পুলিশ সুপার দেবরঞ্জন বর্মা বলেন, ‘‘খুনের ঘটনাকে দুর্ঘটনা বলে চালানোর চেষ্টা করেছিল অভিযুক্তরা। কিন্তু বেশ কিছু অসঙ্গতি থাকায় আমরা বুঝতে পারি, এটা একটা ষড়যন্ত্র। খুনের পিছনে দু’টি উদ্দেশ্য ছিল— নির্ভিকের সাংবাদিকতা এবং দেনা-পাওনা নিয়ে পিন্টু ও রিঙ্কুর মধ্যে বিবাদ। ২৭ নভেম্বর একটি বিয়ার বারের সামনে ললিত ও পিন্টুর মধ্যে বাদানুবাদ ও মারপিট হয়েছিল।’’

তদন্তে উঠে এসেছে, খুনের আগে রাকেশ ও পিন্টু দু’জনকেই জোর করে মদ্যপান করায় দুষ্কৃতীরা। দুর্ঘটনা বলে চালানোর জন্যই এটা করা হয়েছিল বলে মনে করছেন তদন্তকারী অফিসাররা। পুলিশ জানিয়েছে, প্রয়োজনে আরও অনেককেই এই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।মৃত্যুর আগে হাসপাতালের বেডে শুয়ে রাকেশের একটি ভিডিয়ো ছড়িয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাতে তিনি অভিযোগ করেছিলেন, ওই পঞ্চায়েত প্রধান ও তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে প্রায় প্রতিদিনই খবর করছিলেন তিনি। তিনি বলেছিলেন, ‘‘সত্য ঘটনাকে সামনে আনার এটাই মূল্য।’’

আরও পড়ুন: সংক্রমণে রাশ টানতে আজ থেকে চালু কেন্দ্রের নয়া নির্দেশিকা- এক নজরে যাবতীয় বিধিনিষেধের তালিকা

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest