বিসর্জনে গন্ডগোলের জেরে চলল গুলি, বিহারে মৃত যুবক, বেধড়ক পিটিয়ে ‘ভাইরাল’ পুলিশ

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

দুর্গাপুজোর ভাসান কেন্দ্র করে বিহারের মুঙ্গের শহরে জনতা বনাম পুলিশের গুলির লড়াইয়ে প্রাণ হারালেন ১৮ বছরের তাজা তরুণ, জখম হলেন ৭ জন। নিহত বছর আঠেরোর ওই যুবকের নাম অনুরাগ পোদ্দার। শুধু তাই নয়, ঘটনাস্থলে উপস্থিত একটি পুজো কমিটির সদস্যদের উপর পুলিশের লাঠিপেটার ভিডিও ভাইরাল হতেই প্রবল উত্তেজনা ছড়িয়েছে। নীতীশ কুমারের প্রশাসনের বিরুদ্ধে তালিবানি শাসন চালানোর অভিযোগ করেছে বিরোধীরা।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে একটি খোলা ট্রাকের উপর দুর্গা প্রতিমা নিয়ে বেশ কিছু স্থানীয় বাসিন্দা বিসর্জন দিতে যাচ্ছিলেন। যাওয়ার পথে পুলিশের সঙ্গে বচসা শুরু হয়। সেই সময়ই ওই বিসর্জনের দল থেকে ইট-পাটকেল ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। তার জেরে পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক গন্ডগোল শুরু হয়। সেই সময়ই গুলি চলে বলে অভিযোগ। তাতে এক যুবকের মৃত্যু হয় ঘটনাস্থলেই। পুলিশ ওই বিসর্জনের গাড়িতে থাকা নারী-পুরুষ নির্বিশেষে বেধড়ক পেটাতে শুরু করে। গন্ডগোলের সময় পুলিশ গুলি চালিয়েছে বলেও অভিযোগ স্থানীয়দের।

আরও পড়ুন: বিয়ের প্রস্তাবে ‘না’, মুম্বইয়ের রাস্তায় অভিনেত্রীকে ছুরি দিয়ে কোপাল ‘ফেসবুক বন্ধু’

তবে গুলি চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করে পুলিশের দাবি, ওই শোভাযাত্রায় বিশৃঙ্খলার জেরে দেরি হচ্ছিল বিসর্জনে। বেশ কিছু দুষ্কৃতী ঢুকে পড়েছিল। তার মধ্যেই পুলিশকে লক্ষ্য করে শুরু হয় পাথরবৃষ্টি। লাঠিচার্জ করতে বাধ্য হয় পুলিশ। মুঙ্গেরের পুলিশ সুপার লিপি সিংহ বলেন, দুর্গা পুজোর বিসর্জনে কিছু দুষ্কৃতী ঢুকে পড়েছিল। দুষ্কৃতীদের ছোড়া পাথরে আহত হন ২০ জন পুলিশকর্মী। তার পর জনতার মধ্যে থেকে কেউ গুলি চালায়। তাতে মৃত্যু হয় এক যুবকের।’’ ভিডিয়োতে নৃশংস ভাবে পেটানোর ছবি ছড়িয়ে পড়ার পরেও এক পুলিশকর্মীর দাবি, ‘‘জনতাকে পেটানোর মিথ্যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। অভিযুক্তকে ধরার চেষ্টা চলছে।’’

কাল বুধবার বিহারে প্রথম দফার ভোটগ্রহণ। রাজনৈতিক উত্তেজনা ছিলই। তার মধ্যে এই ঘটনায় পারদ আরও চড়েছে। চিরাগ পাসওয়ান মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে টুইটে বলেন, ‘‘নীতীশ কুমারের নেতৃত্বে রাজ্যে তালিবানি কায়দায় বিসর্জনে যাওয়া এক যুবককে গুলি করে মারা হয়েছে। মুঙ্গের পুলিশের বিরুদ্ধে খুনের মামলা হওয়া উচিত। পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হোক অবিলম্বে।’ নিহত যুবকের পরিবারকে ৫০ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্যের দাবিও জানিয়েছেন চিরাগ। নির্বাচনের জন্য আইনশৃঙ্খলার ভার এখন নির্বাচন কমিশনের অধীনে। ঘটনা ‘অনভিপ্রেত’ বলে মন্তব্য করে উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদী বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের উচিত ঘটনার তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া।

আরও পড়ুন: বিজেপির সঙ্গে গোপন আঁতাত, ফাঁস হতেই পদ ছাড়লেন ফেসবুকের বিতর্কিত ‘পাবলিক পলিসি হেড’ আঁখি দাস

 

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest