রাজনৈতিক মতভেদ তাকাতেই পারে। কিন্তু রাজ্য প্রশাসনের সর্বময় কর্ত্রী সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্য কোনওভাবেই বরদাস্ত নয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়িয়ে বিজেপি কেন্দ্রীয় সম্পাদক অনুপম হাজরার বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরি (Adhir Ranjan Chowdhury)। টুইট করে তিনি এ নিয়ে বিজেপিকে তোপ দাগলেন। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, “বিজেপি পার্টি ক্ষমা চাও। বাংলায় এসব চলবে না।”
বিজেপির সর্বভারতীয় সম্পাদকের পদে বসে গত রবিবার বারুইপুরে দলীয় সভায় যোগ দিয়েছিলেন বোলপুরের প্রাক্তন সাংসদ অনুপম হাজরা (Anupam Hazra)। সেই সভায় কোভিড বিধি ভঙ্গ করেই বাড়তি জমায়েত হয়েছিল বলে অভিযোগ। সমর্থকদের অনেকের মুখেই মাস্ক ছিল না। এই সভায় অনুপম হাজরাকে করোনা প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি একটি বেফাঁস মন্তব্য করে বসেন।
আরও পড়ুন : ‘মগজখেকো’ অ্যামিবা কুরে কুরে খেয়েছে স্নায়ু, মর্মান্তিক মৃত্যু ছ’বছরের শিশুর
(1/2) @MamataOfficial মমতা ব্যানার্জীর বিরুদ্ধে আমার হাজারও অভিযোগ আছে ও থাকবে, অভিযোগ ব্যক্ত করার অধিকার আমার আছে কিন্তু তার বিরুদ্ধে অশালীন মন্তব্য করার কোনো অধিকার নেই।
একজন মহিলার প্রতি বিজেপি নেতার অশালীন মন্তব্য বাংলার তথা ভারতীয় সংস্কৃতির অপমান বলে মনে করি।
— Adhir Chowdhury (@adhirrcinc) September 28, 2020
অনুপম বলেন, ”করোনা হলে প্রথমেই মমতাকে জড়িত ধরব।” তাঁর এই মন্তব্যে তীব্র সমালোচনার ঝড় উঠতে না উঠতেই শিলিগুড়ি থানায় অনুপমের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে তৃণমূল উদ্বাস্তু সেল। এ নিয়েও পালটা মুখ্যমন্ত্রীকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন বিজেপির নতুন কেন্দ্রীয় সম্পাদক। বিষয়টি নিয়ে জল গড়িয়েছে বহু দূর।
এই বিতর্কে মমতার পাশেই দাঁড়ালেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরি। একাধিক টুইটে তিনি তীব্র আক্রমণ শানালেন বিজেপির উদ্দেশে। শুধু অনুপম হাজরা নন, তাঁর নিশানায় ছিল গোটা বিজেপি। অনুপমের বিরুদ্ধে তোপ দেগে অধীর লিখলেন, ”প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ আগে দিদিকে ‘দেবী’ বলতেন। তাঁর দয়াতেই সাংসদ হয়েছিলেন।”
নিজের মতামত ব্যক্ত অধীর জানান যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বিরুদ্ধে তাঁর নিজের হাজার অভিযোগ আছে, থাকবে। অভিযোগ ব্যক্ত করার অধিকারও আছে। কিন্তু কোনও অশালীন মন্তব্য করার অধিকার নেই। তা ভারতীয় সংস্কৃতির অপমানের শামিল বলে মনে করছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।
আরও পড়ুন : কলকাতার মুকুটে নয়া পালক! বিশ্বের বিজ্ঞান শহরের তালিকার প্রথম ১০০’এ স্থান তিলোত্তমার