নাড্ডার কনভয়ে হামলা মানুষের ক্ষোভের স্বতঃস্ফূর্ত বহিঃপ্রকাশ, দাবি অভিষেকের

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

ডায়মন্ড হারবার যাওয়ার পথে জে পি নাড্ডার কনভয়ে হামলার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। কিন্তু স্থানীয় সাংসদ তথা তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, ওই হামলা আসলে সাধারণ মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। বৃহস্পতিবার হুগলির আরামবাগে সভা ছিল অভিষেকের। তৃণমূল সাংসদের তোপ, সাধারণ মানুষের ক্ষোভের দায় তিনি নেবেন না। একই সঙ্গে বহিরাগত ইস্যুতেও বৃহস্পতিবার ফের সরব হয়েছেন তিনি।

বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি নাড্ডা-সহ বিজেপি নেতাদের কনভয় ডায়মন্ড হারবারের সভায় যাওয়ার পথে হামলার মুখে পড়ে। ইট-পাটকেল ছুড়ে গাড়ির কাচ ভেঙে দেওয়া হয়। কনভয়ের গাড়ি লক্ষ্য করে মুহুর্মুহু ইট বৃষ্টি হতে থাকে। যাতে কাচ ভেঙে আহত হন মুকুল রায়, কৈলাস বিজয়বর্গীয়-সহ একাধিক বিজেপি নেতা। ইট পড়ে নাড্ডার গাড়িতেও। তবে তিনি বুলেটপ্রুফ গাড়িতে থাকায় অক্ষত রয়েছেন। অভিযোগ ওঠে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের দিকে। কিন্তু হামলায় তৃণমূল-যোগ উড়িয়ে দিয়ে তা সাধারণ মানুষের দিকে ঠেলে দিয়েছেন অভিষেক। তিনি বলেন, ‘‘ডায়মন্ড হারবারে এসে বিজেপি-র গাড্ডায় পড়েছেন জে পি নাড্ডা। তা আমি কী করতে পারি? সাধারণ মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশের দায়িত্ব তো আমার নয়।’’

যুব তৃণমূল সভাপতির যুক্তি, ‘লকডাউনের সময় মানুষের খোঁজ নেননি। জিএসটি, নোটবন্দি করে মানুষের জীবনে অন্ধকার এনেছেন আপনারা। একদিনও খোঁজ নেননি। লকডাউনের সময় কোন নেতাকে খোঁজ নিতে দেখেছেন আপনারা? ক’বার লকডাউনে মানুষের পাশে দেখতে পেয়েছেন? একমাত্র যদি কেউ দাঁড়িয়ে থাকে, কালীঘাটে টালির ছাদেরতলার সেই মহিলা।’

আরও পড়ুন: হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মতিথিতে ছুটি, পাঠ্য বইতে তাঁদের জীবনী, বনগাঁর সভায় বললেন মমতা

‘ভাইপো’ তরজা’য় ফের সরব হয়েছেন অভিষেক। একই সঙ্গে বহিরাগত তত্ত্বকেও উস্কে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘আমি ডায়মন্ড হারবারের সভায় বলেছিলাম, আমার নাম করে বলুন। আজ পর্যন্ত কেউ বলতে পারেননি। এখনও বলছেন ভাইপো। কিন্তু আমি নাম করে বলছি, নাড্ডা বহিরাগত, কৈলাস বিজয়বর্গীয় বহিরাগত। আমার বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নেওয়ার নিন, আমি আদালতে জবাব দেব।’’ ডায়মন্ড হারবারের ওই সভা থেকেই দিলীপ ঘোষকে গুন্ডা বলেছিলেন অভিষেক। তার জেরে আইনি নোটিস পাঠিয়েছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি। এ দিন বিষয়টি আরও ব্যাখ্যা করে অভিষেক বলেন, ‘‘যিনি কথায় কথায় বলেন, শ্মশানে পাঠিয়ে দেব, হাত ভেঙে দেব, পা ভেঙে দেব— তাকে কী বলব? ধোয়া তুলসিপাতা?’’

গোঘাট, খানাকুল, আরামবাগের মতো এলাকায় বাম জমানায় সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠেছে বিভিন্ন সময়ে। সেই প্রসঙ্গ টেনে বাম-বিজেপি-কংগ্রেসকে এক সারিতে বসিয়ে আক্রমণ শানান অভিষেক। তিনি বলেন, ‘‘সিপিএমের হার্মাদরাই বিজেপির জল্লাদ হয়েছে। আপনারা কি চান হুগলিতে আবার সেই সন্ত্রাস ফিরে আসুক?’’

আগামিকাল শুক্রবার থেকে বাড়ি বাড়়ি সরকারের রিপোর্ট কার্ড পৌঁছে দেওয়ার কর্মসূচি নিয়েছে তৃণমূল। সেই প্রসঙ্গে অভিষেকের চ্যালেঞ্জ, ‘‘তৃণমূল সরকার ১০ বছরের রিপোর্ট কার্ড আপনাদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেবে। ক্ষমতা থাকলে মোদী সরকারের ৭ বছরের রিপোর্ট কার্ড দিন ওঁরা।’’ সভায় উপস্থিতদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি নেতারা আপনাদের কাছে এলে রিপোর্ট কার্ড চাইবেন।’’

আরও পড়ুন: লোক নেই, তাই কনভয়ে হামলার নাটক হচ্ছে… বিজেপিকে বিঁধে কী আর বললেন তৃণমূল নেত্রী

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest