৫ মে থেকে রাজ্যে বিনামূল্যে টিকা ঘোষণা মমতার, একদেশ এক দাম নয় কেন, ছুঁড়লেন প্রশ্ন

‘অন্য সময় এক দেশ, এক দল, এক নেতার কথা বলবে। আর টিকাকরণের সময় দাম হবে আলাদা আলাদা। কেন হবে?'
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

টিকার দাম নিয়ে টানা পড়েন চলছেই। কিন্তু থেমে নেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। আগামী ৫ মে থেকে রাজ্যে বিনামূল্যে সার্বিক টিকাকরণের ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ২ মে রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা। তার পরই ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সকলকে বিনা পয়সায় করোনার প্রতিষেধক দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করলেন তিনি। মমতা জানিয়েছেন, কলকাতা-সহ শহরাঞ্চলে যেহেতু অতিমারির প্রকোপ সবচেয়ে বেশি, সেখান থেকেই প্রথমে টিকাকরণ শুরু হবে। তার পর একে একে জেলাগুলিতে টিকাকরণের এই কাজ শুরু হবে।

বৃহস্পতিবার দক্ষিণ দিনাজপুরের তপনে নির্বাচনী জনসভা করেন মমতা। সেখানেই বিনামূল্যে সার্বিক টিকাকরণের ঘোষণা করেন তিনি। মমতা বলেন, ‘নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর ৫মে থেকে সার্বিক টিকাকরণ শুরু করব আমরা। ১৮ বছর থেকে যে চাইবে, সে-ই পাবে। সম্পূর্ণ বিনা পয়সায় সরকার থেকে আমরা প্রতিষেধক কিনে দেব।’

আরও পড়ুন: ভাইজান ইজ ব্যাক! ঈদে হলেই মুক্তি পাবে ‘রাধে’! দেখুন দুর্দান্ত অ্যাকশনে পরিপূর্ণ ট্রেলার…

প্রতিষেধকের ভিন্ন ভিন্ন দাম নিয়ে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন মমতা। দেশে যে হারে সংক্রমণ এবং মৃত্যু বৃদ্ধি পাচ্ছে, তার জন্যও কেন্দ্রের ‘ঢিলেমি’কেই কাঠগড়ায় তুলেছেন তিনি। তপনে মমতা বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার আমাদের কিছু দেয় না। আবার কোভিড শুরু হয়েছে। আগের বার কত টাকা খরচ হয়েছে। কত মানুষ মারা গিয়েছেন। আমরা সামলে নিয়েছিলাম। এ বছর কোভিড হওয়ারই কথা ছিল না। ছ’মাস আগে প্রতিষেধক দিয়ে দিলেই কোভিড হতো না।’

প্রতিষেধকের ভিন্ন ভিন্ন দাম নির্ধারণ করা নিয়েও কেন্দ্রকে একহাত নেন মমতা। তিনি বলেন, ‘অন্য সময় এক দেশ, এক দল, এক নেতার কথা বলবে। আর টিকাকরণের সময় দাম হবে আলাদা আলাদা। কেন হবে? কেন্দ্র কিনলে ১৫০, রাজ্য কিনলে ৪০০ আর বেসরকারি হাসপাতাল কিনলে ৬০০। কী হচ্ছে এটা? প্রতিষেধক একটি জরুরি পরিষেবা। এটা ব্যবসা করার জায়গা নয়। সকলকে এক দামে প্রতিষেধক দিতে হবে। প্রতিষেধক তো বিনামূল্য দেওয়া উচিত কেন্দ্রের! কম টাকা আছে নাকি? সব ব্যাঙ্কের টাকা গচ্ছিত রয়েছে, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের টাকা গচ্ছিত রয়েছে, পিএম কেয়ার্সের টাকা রয়েছে! কোথায় গেল এত টাকা? ওই টাকা দিয়ে প্রতিষেধক দিয়ে দিলে কোভিড এত বাড়ত না।’

আরও পড়ুন: ‘জাতীয় জরুরি অবস্থা’, কোভিড নিয়ে কেন্দ্রকে শীর্ষ কোর্টের ‘কড়া’ নোটিশ

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest