অজ্ঞাতবাস পর্ব কাটিয়ে জিতেন্দ্রর ‘প্রত্যাবর্তন’, হলেন তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র

নয়া ভূমিকায় জিতেন্দ্র তিওয়ারি, ভোটের আগে তৃণমূলের বড় পদে এলেন পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক।
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

অবশেষে ফের নতুন দায়িত্ব নিয়ে তৃণমূলে সক্রিয় হচ্ছেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি (Jitendra Tiwari)। আসানসোল পুরনিগমের প্রাক্তন মেয়র তথা পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক জিতেন্দ্র তেওয়ারি এবার তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্রের ভূমিকায়।

তৃণমূল সূত্রের খবর, বিধানসভা ভোটের আগে জিতেন্দ্রর বাগ্মিতাকে কাজে লাগাতে চাইছে ঘাসফুল শিবির। বিশেষত একটা সময় আইনজীবী ছিলেন জিতেন্দ্র। তাঁর সেই কথা বলার দক্ষতাকে ব্যবহার করে বিজেপির মোকাবিলা করতেই ‘ভুল’ মকুব করে দেওয়া হয়েছে। সেই দায়িত্ব পাওয়ার পর আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র জানান, তাঁর উপর ভরসা রেখেছে তৃণমূল। তাতে আপ্লুত তিনি। বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপি-সহ বিরোধীরা যে ভুয়ো প্রচার চালাবে, তার বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের কাছে সঠিক তথ্য পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করবেন।

আরও পড়ুন: উন্মুক্ত বক্ষ, গলায় গণেশের লকেট, হিন্দু ভাবাবেগে ‘আঘাত’! ফের চর্চার কেন্দ্রে রিহানা

মঙ্গলবার তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে তাঁকে দলের জাতীয় মুখপাত্র (National Spokesperson) হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। কিছুদিন ধরেই অবশ্য তাঁকে জাতীয় স্তরের একাধিক টেলিভিশনে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে রাজনৈতিক বিতর্কে অংশ নিতে দেখা যায়। তখন থেকেই অনেকেই মনে করেছিলেন তাকে দলের জাতীয় স্তরে মুখপাত্র দল ঘোষণা করা হতে পারে।

এদিন দলের তরফে নতুন দায়িত্ব পাওয়ার পরে জিতেন্দ্র তেওয়ারি বলেন, ‘আমি কৃতজ্ঞ মুখ্যমন্ত্রী তথা দলনেত্রীর কাছে। তিনি আমার উপর ভরসা রেখে যে দায়িত্ব নতুন দিয়েছেন তা অবশ্যই আমি পালন করে যোগ্যতা প্রমাণ করার চেষ্টা করব।’ তিনি যোগ করেন, প্রতিপক্ষ যারা থাকেন তারা নানা ধরনের মিথ্যা অভিযোগ নানা ভাবে তুলে ধরেন। সেগুলো সমানভাবে খণ্ডন করব দলের তরফে।

গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর পশ্চিম বর্ধমানের তৃণমূলের জেলা সভাপতির পদ থেকে আচমকা ইস্তফা দেন জিতেন্দ্র। জানিয়ে দেন দলত্যাগের কথাও। কিন্তু ঠিক তার পর দিনই অবশ্য বদলে যায় ছবিটা। কলকাতায় রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের পাশে দাঁড়িয়ে জিতেন্দ্র ঘোষণা করেন, তিনি দলেই থাকছেন। এর পর মাস দুয়েকের কিছুটা বেশি সময় তাঁর ‘অজ্ঞাতবাস’। এ সময় কদাচিৎ দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। তবে তিনি যে দলের মূলস্রোতে ফিরতে মরিয়া তা দৃশ্যতই স্পষ্ট গিয়েছে বিভিন্ন ঘটনার প্রেক্ষিতে। আসানসোলে নিজের মতো করে বিভিন্ন কর্মসূচি চালিয়ে গিয়েছেন তিনি। গত ২৪ জানুয়ারি আসানসোলের এক গুরুদ্বারের অনুষ্ঠানে যোগ দেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, মলয় ঘটক এবং পশ্চিম বর্ধমান জেলা নেতৃত্ব। সে অনুষ্ঠানে ঘটনাচক্রে উপস্থিত হন জিতেন্দ্রও। ঠিক তার কয়েক সপ্তাহের মাথাতেই জিতেন্দ্রর কাঁধে তুলে দেওয়া হল দলের জাতীয় মুখপাত্রের দায়িত্ব।

আরও পড়ুন: OMG! দুধ বেচতে ৩০ কোটির হেলিকপ্টার কিনলেন কৃষক!

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest