পায়ে পায়ে পদার্পণ ৬৫-তে। আজ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী, বাংলার অগ্নিকন্যা, তৃণমূলনেত্রী, বাংলার ‘দিদি’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শুভ জন্মদিন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১৯৫৫ সালের ৫ জানুয়ারি কলকাতার হাজরা অঞ্চলে এক নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা প্রমীলেশ্বর বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামী। দক্ষিণ কলকাতার যোগমায়া দেবী কলেজ থেকে ইতিহাসে অনার্স নিয়ে স্নাতক হন তিনি। তারপর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসলামিক ইতিহাসে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
কলকাতার শ্রীশিক্ষায়তন কলেজ থেকে বি.এড. ডিগ্রি সম্পূর্ণ করার পর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.এ. ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে কলকাতার যোগেশচন্দ্র চৌধুরী আইন কলেজ থেকে এলএল.বি. ডিগ্রি অর্জন করেন। রাজনীতিতে প্রবেশ ছাত্রাবস্থাতেই। শিক্ষাজীবন সমাপ্ত করার পর সংসার চালনার জন্য কিছুকাল একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতাও করেছিলেন।ছোট থেকেই দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করেছেন তিনি। এক সময় তাঁকে দুধ বিক্রির কাজও করতে হয়। ছোট ভাই বোনেদের পড়াশোনা এবং মাকে সাহায্য করার দায়িত্ব ছিল তাঁরই ওপরে।
আরও পড়ুন: বিনামূল্যে ছানি অপারেশন, ফ্রি–তে মিলবে ৮ লক্ষ ২৫ হাজার চশমা, ‘চোখের আলো’ প্রকল্পের ঘোষণা মমতার
১৯৭০-এ সক্রিয় রাজনীতিতে আসেন মমতা। ১৯৭৬ থেকে ৮০ পর্যন্ত মহিলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ১৯৮৪ সালে যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়কে হারিয়ে দেশের কনিষ্ঠতম সাংসদ হন মমতা। গোটা রাজনৈতিক কেরিয়ারে সাদামাটা জীবন যাপন করে এসেছেন তিনি। পরনে তাঁতের শাড়ি, পায়ে হাওয়াই চপ্পল। কোনও গয়না বা প্রসাধনী সামগ্রীও ব্যবহার করতে দেখা যায় না তাঁকে।
সাদামাটা জীবনযাপনের জন্য রাজনীতিতে বরাবরই আলাদা পরিচয় রয়েছে মমতার। তিনিই দেশের প্রথম মহিলা রেলমন্ত্রী। মোট ২ বার রেলমন্ত্রী হন মমতা। এছাড়াও কেন্দ্রীয় সরকারের কয়লা, মানব সম্পদ উন্নয়ন, যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া এবং নারী ও শিশু কল্যাণমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন মমতা। ২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গে ৩৪ বছরের বাম শাসনকে হঠিয়ে ক্ষমতায় আসেন তিনি। যার নেপথ্যে ছিল সিঙ্গুর, নন্দীগ্রামের মতো আন্দোলন। ২০১২ সালে টাইম ম্যাগাজিনের বিশ্বের ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকায় স্থান পান তৃণমূল নেত্রী।
জনীতির পাশাপাশি ছবি আঁকা, কবিতা লেখা সহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কাজের সঙ্গে জড়িত থাকেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।