বিজেপি ডবল ডিজিট ছাড়ালে টুইটার ছাড়ব, বাংলার ভোট নিয়ে বড় দাও খেললেন PK

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

বাংলায় প্রচারে এসে অমিত শাহ দাবি করেছেন, বিজেপি একাই দুশো পার করবে। আর মেদিনীপুরের কলেজ মাঠে দাঁড়িয়ে তৃণমূলের একদা সেকেন্ড ইন কমান্ড তথা সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায় বলেছিলেন, “একুশের ভোটে তৃণমূল তিন অঙ্কের সংখ্যায় পৌঁছতে পারবে না। মিলিয়ে নেবেন।” অর্থাৎ, মুকুলবাবুর চ্যালেঞ্জ ছিল ৯৯-এর মধ্যে আটকে যাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল।

চল্লিশ ঘণ্টা পার করে এ নিয়ে মুখ খুললেন প্রশান্ত কিশোর। তাতে এই পেশাদার ভোট কুশলী লিখেছেন, “মিডিয়ার একটা অংশ যতই হাইপ তুলুক, বিজেপি বাংলায় দুই অঙ্কের সংখ্যা টপকাতে হিমশিম খাবে।” প্রশান্ত কিশোর এখানেই থামেননি। এও লিখেছেন, “এই টুইটটা সেভ করে রাখুন। অন্যথা হলে আমি এই স্পেসটা ছেড়ে দেব।” এই স্পেসটা বলতে হয়তো তিনি টুইটার ছাড়ার কথা বলেছেন। তবে টুইটের মেজাজ দেখে অনেকের মনে হচ্ছে পিকে তাঁর কেরিয়াকেই পাশার বোর্ডে রাখলেন।

আরও পড়ুন: বিজেপিতে সম্মান-মর্যাদা ‘না’ পেয়ে তৃণমূলে ‘নিঃশ্বাস’ নিলেন সৌমিত্র খাঁ-র স্ত্রী সুজাতা

পিকের টুইটের কিছুক্ষণের মধ্যেই পাল্টা টুইট করেছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তাঁর কথায়, “বাংলায় যে ভাবে বিজেপির সুনামি বইছে তাতে সরকার গঠনের পর দেশে একজন ভোট কুশলী কমে যাবে!” কৈলাস কাকে উদ্দেশ্য করতে চেয়েছেন তা পরিষ্কার।

মেদিনীপুরের জনসভা থেকেই শুধু নয়, এর আগেও পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে ২০০-এর বেশি আসন পাওয়ার দাবি করেছেন অমিত-সহ বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। অমিত বলেছিলেন, ‘‘আমরা পশ্চিমবঙ্গে ২০০-র বেশি আসনে জিতবই। যাঁদের হাসার, তাঁদের হাসতে দিন। বিজেপির স্লোগান হবে, ‘অব কি বার, ২০০ পার’।’’

২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ফল এই প্রসঙ্গে দেখে নেওয়া যেতে পারে। ২০১৬ সালে তৃণমূলের প্রাপ্ত আসন ছিল ২১১। অন্য দিকে এনডিএ-র প্রাপ্ত আসন ছিল ৬টি। সেখান থেকে একক দল হিসাবে বিজেপির ২০০ পার করে যাওয়া ‘ম্যাজিক’ বলেই হতে পারে কোনও পক্ষের।

তবে মনে রাখতে হবে আগের বারের থেকে পরিস্থিতি কিছুটা বদলেছে। ২০১৯ লোকসভা ভোটে বিজেপি ৪২টার মধ্যে ১৮টা আসন পায়। যার পর থেকেই বঙ্গ রাজনীতিতে গেরুয়া শিবিরের পালে ‘হাওয়া’ লেগেছে বলে মনে করছে বিজেপি নেতৃত্ব। এরই মধ্যে তৃণমূল শিবিরেও ‘ভাঙন’ ধরেছে। শুভেন্দু অধিকারীর মতো ‘হেভিওয়েট’ নেতা বিজেপিতে গিয়েছেন। যার ফলে গেরুয়া শিবির হয়তো ‘বিশ্বাস’ করছে, তারা ২০০-র বেশি আসন পাবে বিধানসভা নির্বাচনে। কিন্তু পিকের দাবি, বাস্তব অন্য কথা বলছে।

আরও পড়ুন: বিজেপির মঞ্চে নাম ঘোষণা,কলকাতায় বসে টিএমসি নেতা, অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest