বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে অভিযোগ যেন শেষই হতে চাইছে না পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর। কিছুদিন আগেই তিনি অভিযোগ করেছিলেন, তাঁর অনুগামীদের গাঁজা কেসে ফাঁসাচ্ছেন অনুব্রত। এবার তিনি কেষ্টবাহিনীর বিরুদ্ধে তাঁর অনুগামীদের মারধর, হুমকির অভিযোগ তুললেন।
শুক্রবার একটি কর্মসূচিতে যোগ দিতে বর্ধমানে গিয়েছিলেন সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। সেখান থেকেই বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mandal) নিশানা করেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তোলেন তিনি। বলেন, মঙ্গলকোটে তাঁকে সভা করতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। সভা করলে তাঁর অনুগামীদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। সেটা অনুব্রত মণ্ডল করাচ্ছেন বলেই দাবি তৃণমূল বিধায়কের ।
আরও পড়ুন: থাকলে থাকুন, নইলে লুটেরাদের দলে যান, নাম না করে শুভেন্দুকে মোক্ষম বার্তা মমতার
বীরভূমের তৃণমূলের সভাপতিকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “অনুব্রত মণ্ডল বীরভূমে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ঠিক আছে। কিন্তু বীরভূমের গরম হাওয়া এনে পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটকে গরম করবেন, তা চলবে না। উনি বীরভূম জেলাতে নেতৃত্ব দিন। কিন্তু পূর্ব বর্ধমানের তিনটি বিধানসভা, আউশগ্রাম, কেতুগ্রাম ও মঙ্গলকোট তাঁর হাত থেকে নিয়ে পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূলের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হোক।”
দলীয় মন্ত্রীর এই অভিযোগের জবাবে অবশ্য কোনও মন্তব্য করেননি অনুব্রত মণ্ডল।এর আগে সিদ্দিকুল্লা অভিযোগ করেন, মঙ্গলকোটে অজয় নদের ধারে ২২ টি বালিঘাট আছে। এগুলি বৈধ ঘাট। কিন্তু সেখানে একই স্লিপ দিয়ে এক গাড়ির জায়গায় বেশী সংখ্যক বালি বোঝাই গাড়ি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এ সবই হচ্ছে অনুব্রত মণ্ডলের মদতে। দেখার কেউ নেই।
মঙ্গলকোটের বিধায়ক হলেন সিদ্দিকুল্লা। অন্যদিকে বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্ভূক্ত পূর্ব বর্ধমানের তিনটি বিধানসভা কেন্দ্র আউশগ্রাম, মঙ্গলকোট ও কেতুগ্রামের দলীয় পর্যবেক্ষক হলেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর বিরুদ্ধে সিদ্দিকুল্লার ক্ষোভ আগেও ছিল। অনুব্রতর অধীনে যে তিনি কাজ করতে অরাজি তা আগেও অনেকবার প্রকাশ্যে বলেছেন সিদ্দিকুল্লা। ফের একবার নিজের ক্ষোভ উগরে দিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রে বিধান পরিষদের নির্বাচনে ভরাডুবি বিজেপি-র, হার গেরুয়া গড় নাগপুরেও