পরিবহণ ও সেচমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর শরীরেও এ বার করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ল। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁর অ্যান্টিজেন টেস্ট করার পর প্রথম পজিটিভ রেজাল্ট পাওয়া যায়। তাই আরটি-পিসিআর টেস্ট তথা সোয়াব টেস্ট করা হয়। তাতেও রিপোর্ট আসে পজিটিভ।
রিপোর্ট পাওয়ার পর থেকে বাড়িতেই আইসোলেশনে রয়েছেন তিনি। আপাতত তাঁর মৃদু উপসর্গ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আজ, শুক্রবার তিনি হাসপাতালে ভর্তি হতে পারেন।এদিকে, একইসঙ্গে মারণভাইরাসের কবলে পড়েছেন শুভেন্দু অধিকারীর মা গায়েত্রীদেবী। তাঁকে নিয়েই মূলত উদ্বেগ বেড়েছে অধিকারী পরিবারের। কিছুদিন আগেই অস্ত্রোপচার হয়েছিল তাঁর। তড়িঘড়ি বৃহস্পতিবার রাতে তাঁকে বাইপাসের ধএক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। চিকিৎসকদের বিশেষ নজরদারিতে রয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: ‘গরু তো আর মানি ব্যাগে পাচার হচ্ছিল না! রাজ্যের পুলিশ ও শাসকদলের মদত রয়েছে’, কটাক্ষ অধীরের
বাংলায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণের পর শাসক দলের হাতেগোণা যে ক’জন বড় নেতাকে মাঠে নেমে মানুষের পাশে দাঁড়াতে দেখা যায় তাঁর মধ্যে শুভেন্দু ছিলেন অন্যতম। আমফানের পরেও গোটা পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ত্রাণ ও উদ্ধারের জন্য সরেজমিনে পরিদর্শনে বেরোন তিনি। কোভিডে কারণে সংকটে পড়া পশ্চিমাঞ্চলের শবর পরিবারদের ধারাবাহিক ভাবে সাহায্য করেছেন তিনি। সেই সঙ্গে কলকাতায় দুই দফতরের কাজও যথাযথ ভাবে সামলাচ্ছিলেন। তবে গোড়া থেকেই এই সংক্রমণের ব্যাপারে সতর্ক ছিলেন শুভেন্দুবাবু। সামাজিক দূরত্ব ও সব সতর্কতা মেনেই যা করার করছিলেন।
কিন্তু এরই মধ্যে প্রথমে শুভেন্দুবাবুর ভাইপো করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। তার পর কোভিডে আক্রান্ত হন শুভেন্দুবাবুর বড় ভাই। তাঁদের একান্নবর্তী পরিবার। ফলে ওই ঘটনা থেকেই পরিবারের মধ্যে ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। পরিবহণমন্ত্রীর বাবা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী ও কাঁথি লোকসভার সাংসদ শিশির অধিকারীরও বয়স হয়েছে। তাঁর বয়স প্রায় ৭৯ বছর। এমনিতেই কোভিডে বয়স্কদের ঝুঁকি বেশি। তাই গায়ত্রীদেবীর শরীরে কোভিড ধরা পড়ার পর শিশিরবাবুকেও পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পুজোয় কি সারা রাত ঠাকুর দেখা যাবে? নিয়মাবলী ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী