ওয়াশিংটন: করোনা সংক্রমণে সাধারণ চিকিৎসা থেকে রেমডেসেভির প্রয়োগে প্রায় ৩০ শতাংশ দ্রুত রোগীরা সুস্থ হয়ে উঠছেন। রেমডেসেভির নিয়ে এমনই সোজা-সাপটা গুনগান শোনা গেল মার্কিন চিকিৎসকদের মুখে।
করোনা সংক্রমণের আপাতত কোনও প্রতিষেধক নেই। প্রায় ২ লক্ষেরও বেশি মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। সেখানে আশার আলো হয়ে উঠছে রেমডেসেভির।
ইউএস ইনস্টিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকসিয়াস ডিজিজ (NIAID) একটি বিবৃতিতে বলেছে গিলিড সায়েন্সের এই রেমডেসেভির ড্রাগের প্রয়োগে রোগীরা প্রায় ৩১ শতাংশ দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠছেন। ইউএস ইনস্টিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকসিয়াস ডিজিজের প্রধান অ্যান্টনি ফৌসি হোয়াইট হাউসে জানিয়েছেন, রেমডেসেভির প্রয়োগে দারুন ইতিবাচক ইঙ্গিত মিলেছে।
আরও পড়ুন: নিলামে উঠল এক টুকরো চাঁদ! দাম শুনলে আঁতকে উঠবেন
রোগীরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠছেন। এর আগে রেমডেসেভিরের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে সেরকম প্রভাবশালী ফল মেলেনি। এমনই তথ্য নিজেদের ওয়েবসাইটে দিয়ে পরক্ষনেই মুছে ফেলেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। তবে গিলিড অবশ্য তাঁদের ড্রাগ নিয়ে সম্ভাব্য সুফলের কথা বলেছিল। মার্কিন চিকিৎসকদের মুখেও এবার সেই সুফলেরই কথা।
এই ড্রাগ মূলত মানব শরীরে প্রবেশ করে ভাইরাসকে প্রতিলিপি গঠনে বাধা দেয়। তবে মার্কিন চিকিৎসকদের এই প্রতিক্রিয়ার সঙ্গে সঙ্গে রেমডেসেভিরের মিশ্র প্রতিক্রিয়াও মিলেছে অনেক ক্ষেত্রে। এখন করোনা মোকাবিলায় চিকিৎসকরা হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ও রেমডেসেভিরের ওপরই ভরসা রাখছেন। তবে বহু ক্ষেত্রে প্লাজমা থেরাপিতেও সুফল মিলছে।
তবে সকলেই যে এই এই অ্যান্টি ভাইরাল নিয়ে খুব উচ্ছ্বসিত, তেমনটা নয়। এরিক টপল ক্যালিফোর্নিয়ার লা জোল্লায় ‘স্ক্রিপস রিসার্চ ট্রানজিশনাল ইনস্টিটিউট’-এর ডিরেক্টর। তিনি বলেন, ‘‘এটা কোনও ব্রেক থ্রু ওষুধ নয়। সবটা মিলিয়ে বেশ ধোঁয়াশা রয়ে গিয়েছে। আমি তো বিভ্রান্ত হয়ে রয়েছি এখনও।’’ একইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘তবে এটা ঠিক, শুরুর শুরু হিসেবে এটা দুর্দান্ত। এবং নিরাপদ।’’
করোনা মহামারির গোড়ার দিকে কোভিড-১৯ নিয়ে উদাসীন থাকার অভিযোগ উঠেছে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। এবার তাতেই কার্যত সিলমোহর দিল ‘দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট’। মার্কিন প্রশাসনের একাধিক শীর্ষকর্তাকে উদ্ধৃত করে পত্রিকাটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে করোনার ভয়াবহ ক্ষতি সাধনের ক্ষমতা নিয়ে ট্রাম্পের কাছে কমপক্ষে বারোটি রিপোর্ট দিয়েছিল CIA। কিন্তু সেই সতর্কবার্তায় আমল না দিয়ে তা হেলায় উড়িয়ে দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে শিরোনামে উঠে আসে নোভেল করোনা ভাইরাস বা কোভিড-১৯। চিনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী ইউহান শহর থেকেই এই মারণ জীবাণু ছড়িয়ে পড়ে গোটা বিশ্বে।
আরও পড়ুন: বিড়ম্বনা! প্যান্ট না পরেই ক্যামেরার সামনে চলে এলেন সাংবাদিক