Bhuban badyakar alleges he has to leave his own home and rent a house for this reason

Bhuban Badyakar : বিপদ বাড়ছে ভুবন বাদ্যকরের, স্বপ্নের বাড়ি ছেড়ে ঠাঁই ভাড়া বাড়িতে

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

বাদাম বাদাম দাদা কাঁচা বাদাম- গানটি মনে আছে ? মনে আছে গায়ক ভুবন বাদ্যকরকে ? একসময় ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, মোবাইলের কলারটিউ, রিংটোনে বাজত এই গান। কিন্তু সেই নিজের গানই এখন গাইতে পারছেন না ভুবন বাদ্যকর। তিনি কান্নাকাটি করছেন, চাইছেন সহযোগিতা। নিজের সাধের বাড়ি ছেড়েও পালিয়েছেন ভুবন। এখন কীভাবে কাটছে তাঁর-কেন এমন দশা?

কিছুদিন আগেই ‘বাদাম কাকু’ অভিযোগ এনেছিলেন ‘কাঁচা বাদাম’ গান চুরি গিয়েছে। ফের একবার অত্যাচারের শিকার হওয়ার কথা জানালেন বীরভূমের দুবরাজপুরের এই ভাইরাল গায়ক। এমনই করুণ পরিস্থিতি যে জুলুমের জেরে নিজের সাধের রাজপ্রাসাদ ছেড়ে ‘পলাতক’ ভুবন বাদ্যকর। কপিরাইট ইস্য়ুর পর এবার নতুন কোন উৎপাতের শিকার হলেন বাদাম কাকু? নিজের করুণ পরিস্থিতির কথা খোলসা করেছেন ভুবন বাদ্যকর নিজেই।

২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের আগে বাদামকাকু বিখ্যাত হন। ‘কাঁচা বাদাম’ বীরভূম থেকে তাঁকে নিয়ে গিয়েছে মুম্বইয়ে। বীরভূমে বানিয়েছিলেন সাধের বাড়িও। কিন্তু সুখ দীর্ঘস্থায়ী হল না। প্রতারণার শিকার হন বাদামকাকু। অভিযোগ, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুবন বাদ্যকরের গান ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ইলামবাজারের গোপাল ঘোষ গানের কপিরাইটের জন্য তাঁর কাছে সাদা কাগজে সই করিয়ে নেন। বিষয়টা আদতে কী তা বুঝতে পারেননি ভুবনবাবু।

এদিকে এক সইয়ের জেরে বিখ্যাত গানের যে অর্থ ভুবনবাবুর পাওয়ার কথা তা আর তিনি পাচ্ছেন না। এবিষয়ে দুবরাজপুর থানায় অভিযোগও করেন শিল্পী। কিন্তু তাতে খুব বেশি কিছু সুবিধা হয়নি। এদিকে এলাকার ক্লাব, পাড়া-প্রতিবেশী সকলেরই ধারণা ভুবনবাবু ধনী। ফলে বিভিন্নরকম দাবি করেন তাঁরা। কিন্তু অর্থ না থাকায় তা মেটাতে পারেন না। তা নিয়ে অশান্তি। সেই অশান্তি থেকে মুক্তি পেতে ভাড়া বাড়িতেই ঠাঁই হয়েছে ভুবন বাদ্যকরের।
এ বিষয়ে ভুবন জানান, “আমার গানের কপি রাইট আছে। টাকা পাই না। আবার যেখানে সেখানে গান আর গাইতেও পারি না। কিন্ত গ্রামের লোকের ধারণা, গান গেয়ে প্রচুর টাকা উপার্জন করছি। তাই তাঁদের যে কোনও কাজে তাদের চাহিদা মতো টাকা দিতে হবে। শুধু গ্রাম নয়, আশেপাশের নানা ক্লাব, নানান সংগঠন টাকা না দিলে হুমকি দিচ্ছে। কিন্তু গান ছাড়া আমি বেকার। কোথায় থেকে টাকা দেব। বাধ্য হয়ে আমি সপরিবার দুবরাজপুরে ভাড়া বাড়ি নিয়ে আছি। দুবরাজপুর পাকুড়তলার ভাড়াবাড়ি আমার এখন ঠিকানা।”

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest