ব্যাপক বোমাবাজি ভাটপাড়ায়, জখম একাধিক, এলাকা দখল নিয়ে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ, জখম পুলিশকর্মী

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

এলাকা দখলকে ঘিরে দুই গোষ্ঠীর তুমুল বোমাবাজিতে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল ভাটপাড়া। ২৯ নম্বর রেলগেট লাগোয়া ভাটপাড়া পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বিস্তীর্ণ এলাকায় রবিবার রাতজুড়ে তাণ্ডব চালায় সমাজবিরোধীরা।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, রবিবার রাত সাড়ে ৯ টা থেকে ব্যাপক বোমাবাজি হয় এলাকায়। বোমার ঘায়ে জখম একাধিক। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ভাটপাড়া থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশ বোমাবাজিতে জড়িত থাকার অভিযোগে ঘটনাস্থল থেকে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের নাম শম্ভু সোনার ও রাম পন্ডিত।

আরও পড়ুন : Srabanti Chatterjee: নতুন প্রেমিক অভিরূপের জন্মদিনে কী করলেন শ্রাবন্তী? প্রকাশ্যে ছবি

ঠিক কী হয়েছিল? রবিবার রাতে আচমকাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভাটপাড়ার ২৯ নম্বর রেলগেট সন্নিহিত এলাকা। অভিযোগ, দুই গোষ্ঠীর ব্যাপক সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এলাকায় মুহূর্মুহূ বোমা পড়তে থাকে। খবর পেয়ে বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। বোমার ঘায়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত অনেকেই জখম হন। তাঁদের মধ্যে এক পুলিশকর্মীও রয়েছেন। সুব্রত গোস্বামী নামে ওই পুলিশকর্মী (Policeman) জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভরতি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নামানো হয়েছে ব়্যাফ।

স্থানীয় সূত্রে খবর পুলিশের উপস্থিতিতেই আচমকা বোমাবাজি হয়। দৌড়ে পালাতে গিয়ে রাস্তায় পড়ে আহত হন সুব্রত গোস্বামী নামে এক পুলিশ কর্মী। ভাটপাড়া থানার ওই এএসআইকে ব্যারাকপুরের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পরে কমব্যাট ফোর্স নামানো হয়।

গত লোক সভা নির্বাচনের পর থেকেই বারবার অশান্ত হয়েছে ভাটপাড়া, জগদ্দল, কাঁকিনাড়া-সহ সমগ্র ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল। বারবার পুলিশ কমিশনার বদলেও লাভ হয়নি। এমন পরিস্থিতি হয়েছিল যে, ভাটপাড়া থানা উদ্বোধন করতে যাওয়ার পথে হিংসার ঘটনার খবর পেয়ে ডানলপ থেকে সেবার কনভয় ঘুরিয়ে ফিরে এসেছিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্র।
 তৃণমূলের অভিযোগ, বিধানসভা নির্বাচনে ভাল ফল না হওয়ায় বাংলায় অশান্তি ছড়াতে চাইছে বিরোধী বিজেপি। তাই ইচ্ছাকৃতভাবে ভাটপাড়ায় অশান্তি তৈরি করছে তারা। আর এই অশান্তির নেপথ্যে সাংসদ অর্জুন সিংয়ের হাত রয়েছে বলেই দাবি ঘাসফুল শিবিরের। যদিও সে দাবি বারবার নস্যাৎ করেছে পদ্মশিবির। তাদের দাবি, শাসকদল তৃণমূল তৃতীয়বারের জন্য মসনদে বসার পর থেকেই ‘অশান্ত’ রাজ্য। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে বলেও দাবি তাদের। ইতিমধ্যেই  এ বিষয়ে নালিশ জানাতে একাধিকবার রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের দ্বারস্থ হয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ বিজেপি বিধায়করা। রাজ্যপালও বিরোধী দলনেতাকে পাশে বসিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। ভোট পরবর্তী সময়ে রাজ্যে রাজনৈতিক অশান্তি ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে বলেও সুর চড়ান তিনি। দিল্লিতে গিয়েছেন রাজ্যপাল। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির অভিযোগ জানাতেই তাঁর দিল্লি সফর বলেই দাবি।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest