সোমবার নারদ মামলার শুনানি হচ্ছে না। জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবারই আদালতে ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ নিয়ে শুনানি শুরু হয়েছে। তা নিয়েই ব্যস্ত রয়েছে হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ। সেই কারণেই সোমবার নারদ মামলার শুনানি বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মামলার শুনানির পরবর্তী তারিখ সম্পর্কে এখনও কিছু জানায়নি হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন : বঙ্গে সক্রিয় মৌসুমী বায়ু, উত্তর থেকে দক্ষিণে সপ্তাহভর ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এবং আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক মামলায় প্রভাব খাটাতে পারেন অভিযোগ তুলে নারদ মামলাকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার আর্জি জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। মমতা এবং মলয়কে আগেই মামলায় পক্ষ করেছে তারা। কিন্তু হাইকোর্ট মমতা এবং মলয়ের জবাবি হলফনামা গ্রহণ করেনি। সেই নিয়ে টানাপড়েনের মধ্যেই গত সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন মলয়। নারদ মামলা থেকে তাঁর নাম বাদ দেওয়ার আর্জি জানান।
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে মলয়ের আবেদনের শুনানি রয়েছে। তার জেরেই হাই কোর্টে মামলার শুনানি পিছিয়ে দেওয়া গিয়েছে বলেও মনে করা হচ্ছে। আইনজীবীদের একাংশের মতে, এ বিষয়ে শীর্ষ আদালত কী বলে, সেই অনুযায়ীই এগোবে হাই কোর্ট।
গত ১৭ মে নারদ মামলায় রাজ্যের দুই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র এবং কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে সিবিআই। নিজাম প্যালেসে তাঁদের নিয়ে যাওয়ার পরই সেখানে হাজির হন মমতা স্বয়ং। তাঁকেও গ্রেফতার করতে হবে বলে দাবি জানান।
পরে সেখানে পৌঁছন কল্যাণ এবং মলয়ও। সিবিআইয়ের অভিযোগ, নিজাম প্যালেসে মুখ্যমন্ত্রী নিজে ধরনায় বসেন। অভিযুক্তদের আদালতে নিয়ে যাওয়ায় বাধা দেন। কল্যাণ এবং মলয় সমর্থকদের জড়ো করে পরিস্থিতি তাতিয়ে তোলেন। পরিবেশ সন্ত্রস্ত করে তোলেন। মামলায় প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করছেন তাঁরা।
নারদ মামলা নিয়ে বিজেপি বিরোধীদের বক্তব্য, আসলে সিবিআইকে দিয়ে তৃণমূলকে চাপে ফেলতে চাইছে কেন্দ্রীয় বিজেপি। একই অভিযোগ শুভেন্দুর বিরুদ্ধে অথচ তাকে একটিবারও ডাকেনি সিবিআই। একই অভিযোগ অথচ বেছে বেছে ধরার যে কৌশল এর মধ্যে কেবল রাজনীতিই রয়েছে অন্য কিছু নেই। মনে করছেন বাংলার মানুষ।
এতদিন বিজেপিতে যাওয়ার কারণে মুকুল রায়কে এই তদন্ত থেকে দূরে রাখা হয়েছিল। অন্তত তেমনটাই প্রকাশ্যে এসেছে। কিন্তু এখন আবার ঘাসফুলে মুকুল। ফলে বিজেপিকে নতুন করে সাজাতে হবে ছক। সেই অর্থে ‘ধোয়া তুলসীপাতা’ বলতে কেবল বাকি রইল বিজেপির শুভেন্দু।
আরও পড়ুন : ইংরেজিতে এমএ, দেড়শো চুরি তিন বছরে ! শেষে হাওড়া পুলিশের জালে ‘মেধাবী চোর’