রাজ্যে প্রথম ওমিক্রন (Omicron) আক্রান্তের খোঁজ মিলল। করোনার ভাইরাসের (Corona Virus) নয়া প্রজাতিতে আক্রান্ত সাত বছরের এক শিশু। আবুধাবি থেকে ভারতে এসেছিল ওই শিশুটি। এরপর হায়দরাবাদ থেকে পশ্চিমবঙ্গে আসে। জানা গিয়েছে, হায়দরাবাদে তার প্রথম করোনা (Corona) পরীক্ষা হয়। সেখানে রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এরপর জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য নমুনা পাঠানো হয়। সেখানেই ওমিক্রন (Omicron) ধরা পড়ে। বর্তমানে মুর্শিদাবাদের চৌরঙ্গী মোড়ে মামাবাড়িতে রয়েছে শিশুটি। বাড়ি ফরাক্কা থানার বেনিয়াগ্রামে। এমনটাই জানিয়েছেন স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা। ইতিমধ্য়ে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সে মালদহের (Maldah) কালিয়াচক (Kaliachwak) এলাকায় এখন তার মামার বাড়িতে রয়েছে। বুধবার সকালেই ওই বালকের ওমিক্রণ পরীক্ষার রিপোর্ট এসেছে বলে জানিয়েছেন তেলঙ্গানার (Telengana) জনস্বাস্থ্য দফতরের ডিরেক্টর শ্রীনিবাস রাও। রিপোর্ট হাতে পেয়ে সঙ্গে সঙ্গেই এ রাজ্যকে সতর্ক করেন বলেই জানান তিনি।
তেলেঙ্গানা সরকারই সাত বছরের ওমিক্রন আক্রান্তের হদিশ দেয় নবান্নকে৷ ভিন দেশ থেকে সে হায়দরাবাদ নামে৷ সেখান থেকে শিশুটি ফেরে মুর্শিদাবাদে৷ ওই শিশুটি ছাড়াও হায়দরাবাদে এদিন আরও দু’জন করোনা আক্রান্ত প্রাপ্তবয়স্কের জিনোম সিকোয়েন্সিয়ে মেলে ওমিক্রন৷ দু’জনই বাইরে থেকে ভারতে এসেছেন৷ তেলেঙ্গানা সরকার জানিয়েছে, তাঁরা কেনিয়া এবং সোমালিয়ার বাসিন্দা৷
তেলেঙ্গানার জনস্বাস্থ্য আধিকারিক ডক্টর জি শ্রীনিবাস রাও জানিয়েছেন, ঝুঁকিপূর্ণ তালিকায় নাম নেই দেশগুলি থেকে হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামে ওই তিনজন৷ বিমানবন্দরে পরীক্ষার সময় তাঁদের করোনা ধরা পড়ে৷ তিনজনের মধ্যে একজন ২৪ বছরের মহিলা৷ তিনি এসেছিলেন কেনিয়া থেকে৷ সোমালিয়া থেকে এসেছিলেন ২৪ বছরে এক পুরুষ যাত্রী৷ ৭ বছরের শিশুটি আবু ধাবি থেকে এসেছিল৷