Malda : For dowry wife been tortured in husband house

Malda : পণের দাবিতে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে, হাত পা কাটল শ্বশুরবাড়ির লোক

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

পণের দাবিতে শ্বশুরবাড়িতে আত্মসিগারের গটনা বাংলা তথা গোটা ভারতে কম নয়।বহু আইন করেও তা রাখা যাচ্ছে না। এবার এমনি মারাত্মক অত্যাচারের ঘটনা ঘটল মালদহে।শ্বশুরবাড়িতে বিবস্ত্র করে অত্যাচার করা হল গৃহবধূকে।অভিযোগ,  খুনের চেষ্টা করা হয় গৃহবধূকে। নির্জাতিতার অভিযোগ, শরীরের একাধিক জায়গায় ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত। হাত পা বেঁধে রাতভর নির্যাতন। অত্যাচারের পর সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়লে, মৃত মনে করে বাড়ির বাইরে ফেলে দেওয়া হয় গৃহবধূকে। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের সাদলিচক পঞ্চায়েতের আড়োলপুর গ্রামে।

আশঙ্কাজনক অবস্থায় গৃহবধূ ভর্তি হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে। ঘটনায় হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে গৃহবধূর পরিবার। স্বামী, শাশুড়ি ও দেওরদের বিরুদ্ধে অত্যাচারের অভিযোগ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে বেপাত্তা অভিযুক্তরা।

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নং ব্লকের সুলতান নগরের যোগীলাল গ্রামের বাসিন্দা আশিয়া খাতুনের বিয়ে হয় নতুন সাদলিচক গ্রামের বাসিন্দা আবুজার হোসেনের সঙ্গে। অভিযোগ, বিয়ের দুই বছর পর থেকেই পণের দাবিতে ওই বধূর উপরে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করত শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। এই ঘটনার কথা মাকে জানিয়েছিলেন আশিয়া। কিন্তু তাঁর বিধবা মায়ের পক্ষে ওই টাকা দেওয়া সম্ভব ছিল না। তবুও মেয়ের সংসারের কথা ভেবে ধারদেনা করে কয়েকবার টাকা দিয়েছিলেন। তা সত্ত্বেও দিনের পর দিন টাকা চেয়ে অত্যাচার চালাত।

ঘটনাকে কেন্দ্র করে আশিয়ার বাপের বাড়ি ও শ্বশুরবাড়ির সকলকে নিয়ে একাধিকবার গ্রামে সালিশি সভা হয়েছে। রবিবার তা মাত্রা ছাড়ায়। সেদিন রাতে আশিয়ার হাত পা বেঁধে প্রাণনাশের জন্য চাকু দিয়ে কোপাতে থাকে স্বামী ও দুই দেওর। আশিয়ার হাত ও পায়ের নার্ভ কেটে দেওয়া হয়। আশিয়া সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়লে মৃত ভেবে রাতেই বাড়ির বাইরে ফেলে দিয়ে আসেন পরিবারের লোকেরা।

সাতসকালে প্রতিবেশীদের কাছে খবর পেয়ে মেয়েকে উদ্ধার করেন পরিবারের লোকজন ও গ্রামবাসীরা। গুরুতরের জখম অবস্থায় হরিশ্চন্দ্রপুর হাসপাতালে ভর্তির পর শুরু হয়েছে চিকিৎসা। তবে এখনও তাঁর অবস্থা সঙ্কটজনক।  অভিযুক্তদের কঠোরতম শাস্তির দাবি করেছে মেয়ের পরিবার। মেয়ের পরিবারের আরও অভিযোগ,৬ বছর আগে বিয়ের সময় চাহিদা মত টাকা, গয়না ও আসবাবপত্র দেওয়া হয়েছিল। এরপরেও কখনও  এক লক্ষ, কখনও দুই লক্ষ টাকা পণ বাবদ চেয়ে অত্যাচার চালানো হতো।

এদিকে  ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় মেয়ের পরিবার। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে আশিয়াকে। বর্তমানে সেখানেই সে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই গৃহবধূর পরিবার। অভিযোগ উঠেছে স্বামী আবুজার হোসেন, শাশুড়ি নুরেফা বিবি ও দুই দেওর উমর ফারুক ও বাদিরুদ্দিনের বিরুদ্ধে। যদিও ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest