অধীরের জন্যই নির্বাচনে ভরাডুবি! পদত্যাগ চেয়ে নতুন করে বঙ্গ কংগ্রেস সাজানোর দাবি

বিধানভবন সূত্রে খবর, এক পদাধিকারি সরাসরি প্রদেশ সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীর (Adhir Ranjan Chowdhury) দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন।আসলে দু-তিনজন মিলে বঙ্গ কংগ্রেস চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন।
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

প্রদেশ সভাপতির পদত্যাগের দাবিতে হাইকমান্ডের কাছে সোচ্চার হল কংগ্রেসের একাংশ। দল পরিচালনা ও ভোটের সময় তাঁর আচরণ নিয়ে একের পর এক নালিশ জমা পড়ে পর্যালোচনা কমিটির সদস্যদের কাছে বলে বিধানভবন সূত্রে খবর। তিনদিন ধরে কংগ্রেস (Congress) নেতৃত্ব, বিধানসভা নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী ও দায়িত্বপ্রাপ্তদের সঙ্গে কথা বলেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্ব গঠিত পাঁচ সদস্যর কমিটি। ভারচুয়াল বৈঠক থেকে উঠে আসা নির্যাস হাইকমান্ডের কাছে রিপোর্ট আকারে জমা দেবে কমিটি।

বঙ্গে সিপিএম ও ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্টের হাত ধরেও শেষরক্ষা হয়নি।। খালি হাতে ফিরতে হয়েছে উভয় দলকেই। স্বাধীনতার পর এই প্রথম। কেন এমন ফল? তার পর্যালোচনা করার নির্দেশ দেন সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi)। অশোক চৌহানের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যর কমিটিও গড়ে দেন। মঙ্গলবার থেকে তিনদিন ধরে দলের সর্বস্তরের নেতৃত্ব ও প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলে সদস্যরা।

প্রথমদিন থেকেই ক্ষোভের আঁচ পাচ্ছিলেন অশোক চৌহান, মনীশ তেওয়ারিরা। ধুমায়িত আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণ ঘটল বৃহস্পতিবার। সকাল থেকেই তার ইঙ্গিত মিলছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। প্রদেশ সভপতি ও প্রাক্তন বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মুখ খোলেন প্রয়াত প্রাক্তন প্রদেশ সভাপতি সোমেন মিত্রর পুত্র রোহন মিত্র (Rohan Mitra)। দলের রাজ্যস্তরের দুই শীর্ষনেতা কোন্দলে মদত দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন। প্রদেশ সভাপতির চেয়ারের প্রতি তাঁর সম্মান থাকলেও সভাপতিকে তিনি পছন্দ করেন না বলে তোপ দাগেন। প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা ‘লবি’ করছেন বলে অভিযোগ রোহনের।

সন্ধেয় ভারচুয়াল বৈঠক শুরু হতেই রোহনের অভিযোগের প্রতিধ্বনি শোনা যেতে থাকে বক্তাদের মুখে। বিধানভবন সূত্রে খবর, এক পদাধিকারি সরাসরি প্রদেশ সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীর (Adhir Ranjan Chowdhury) দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন বলে সুত্রের খবর। নামেই প্রদেশ কংগ্রেস কমিটি। আসলে দু-তিনজন মিলে বঙ্গ কংগ্রেস চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। ভোটেও তার প্রভাব পড়েছে। ভরাডুবির দায় নিয়ে প্রদেশ সভাপতির চেয়ার ছেড়ে দেওয়া উচিত বলে মতামত দেন। আরেক পদাধিকারি নতুন করে প্রদেশ কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছেন বলে খবর।

আরও পড়ুন : একমাসে ১৯ বার! সমস্ত রেকর্ড ভেঙে অগ্নিমূল্য পেট্রোল ও ডিজেল, কলকাতায় কত জেনে নিন…

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest