Mother and her 'lover' arrested for allegedly killing 2-year-old girl

পরকীয়ায় বাধার জের! বালিশ চাপা দিয়ে শিশুকন্যাকে খুন করল মা

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

স্তন্যপান করছিল দু’বছরের মেয়েটি। আর সেই সময় প্রেমিকের সঙ্গে ফোনালাপে মত্ত ছিল মা। অভ্যেসমতো মায়ের স্তনবৃন্ত কামড়ে ফেলেছিল শিশুটি। বাধা পড়েছিল মায়ের প্রেমালাপে। আর সেই ‘দোষে’ কোলের সন্তানকে বালিশ চাপা দিয়ে মারল মা। খুন করেই ক্ষান্ত থাকেনি বরং গল্প বানিয়ে নিজের দোষ ঢাকতেও চেয়েছিল সে। তবে শেষরক্ষা হল না। ওই শিশুকন্যাকে খুনের অভিযোগে শনিবার তাঁদের আটক করা হয়েছিল। রাতভর জেরার পর রবিবার সকালে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। রবিবার ধৃতদের মেদিনীপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কোর্টে তোলা হলে তাঁদের দু’দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। খুনে অভিযুক্ত মায়ের নাম পূজা।

কী গল্প সাজিয়েছিল খুনি মা?‌ এই ঘটনা ঘটিয়ে মা পুজা প্রতিবেশীদের বলে, দুপুরে বাড়ির উঠোনে লেপ রোদে দিয়েছিল। সেই লেপের উপরই খেলছিল মেয়ে। তখন সে রান্না করছিল। কিছুক্ষণ পরে কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে উঠোনে গিয়ে এসে দেখে, মেয়ে লেপের মধ্যে জড়িয়ে রয়েছে। বুক ওঠানামা করছে না। নাকের কাছে হাত দিয়ে দেখে শ্বাসপ্রশ্বাস পড়ছে না। এই কথায় সন্দেহ হওয়ায় প্রতিবেশীরাই পুলিশে খবর দেয়। পুলিশও এই সাজানো গল্প বিশ্বাস করেনি।

পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে অবশ্য বয়ান পরিবর্তন করে পুজা। পুলিশ সূত্রে খবর, পুজা জেরায় জানিয়েছে, স্তন্যপান করার সময় তার বৃন্তে কামড়ে দেয় শিশুটি। যন্ত্রনায় রেগে গিয়ে শিশুটিকে বালিশ চাপা দিয়ে দেয় সে। কিন্তু সে বুঝতে পারেনি মেয়েটি মারা যাবে। যদিও এই কথাও বিশ্বাস করেনি পুলিশ। এরপরই তদন্তে উঠে আসে প্রতিবেশী দেবাশিস মণ্ডলের নাম। পুজার স্বামী দেবাশিস জানা কর্মসূত্রে আন্দামানে থাকেন। স্বামীর অনুপস্থিতিতে প্রতিবেশী দেবাশিস মণ্ডলের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে ওই গৃহবধূ। তার সঙ্গেই চলছিল ফোনে প্রেমালাপ চলছিল। যার জেরে বলি হতে হল শিশুকে।

স্থানীয়েরা জানিয়েছেন, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিংলা থানার উত্তরবাড় গ্রামের বাসিন্দা পূজার স্বামী দেবাশিস জানা কর্মসূত্রে আন্দামানে থাকেন। অভিযোগ, সেই সুযোগেই বিয়ের এক বছরের মাথায় ওই গ্রামের বাসিন্দা দেবাশিস মণ্ডলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে পূজার। প্রায়শই তাঁদের বাড়িতে যাতায়াত ছিল দেবাশিসের।

পূজার বোন কোয়েল বর্মণের দাবি, ‘‘দিদি নিজেই খুনের কথা স্বীকার করেছে। দেবাশিসের কথা শুনে মেয়েকে বালিশ চাপা দিয়েছি বলে দিদি আমাকে জানিয়েছে। দিদির জেল বা ফাঁসি চাই আমি।’’

 

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest