চিঠিতে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ‘রেসপেকটেড ম্যাডাম’ হিসাবে সম্বোদন করে বসলেন বিজেপি বিধায়ক বিবেকানন্দ বাউড়ি। নিজের বিধানসভা এলাকায় একটি শিশুর চিকিৎসার খরচের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছিলেন তিনি। তার জেরে রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়ছেন পুরুলিয়ার এই বিধায়ক।
৯ অগস্ট সোমবার প্রধানমন্ত্রীর দিল্লির দফতরে চিঠি লেখেন বিবেকানন্দ। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে ‘ম্যাডাম’ বলে সম্বোধন করে চিঠিটি শুরু করেছেন। চিঠিটি ইতিমধ্যে নেটমাধ্যমে ভাইরাল হতে শুরু করেছে। আর সেই নিয়ে কটাক্ষের মুখে পড়েছেন বিজেপি বিধায়ক বিবেকানন্দ।
আরও পড়ুন: একুশে ফেরান নি ওঁরা, তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার ‘কৃতজ্ঞতা স্বীকারে’ আজ জঙ্গলমহলে মুখ্যমন্ত্রী
রঘুনাথপুরের বাসিন্দা ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত শিশুর চিকিৎসায় সাহায্যের আবেদন করে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লেখেন বিধায়ক বিবেকানন্দ বাউড়ি। প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ তহবিল থেকে সাড়ে ৪ লাখ টাকা মঞ্জুর করার আবেদন করেন তিনি। চিঠিতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিজেপি বিধায়ক আবেদন করেন, রঘুনাথপুরের নতুনডি গ্রামের বাসিন্দা ২ বছরের শিশু রাজবীর বাউড়ি ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছে। ওই শিশুটি অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের। সেই কারণে ব্যয়সাপেক্ষ এই ক্যানসার চিকিৎসা চালানোও খুব কঠিন। রাজবীরের শারীরিক অবস্থা যা তাতে এখনই তাঁর চিকিৎসার খুব প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রীকে এই গুরুত্বপূর্ণ চিঠি লিখতে গিয়ে এত বড় ভুল সামনে এসে পড়ায় স্বভাবতই বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, এত বড় ভুল হল কী করে।
বিবেকানন্দ বলছেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর আগে মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে ওই একই বয়ানে চিঠিটি লেখা হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর চিঠির ক্ষেত্রে যেখানে ‘ম্যাডাম’ লেখা হয়েছে, সেই জায়গায় শব্দটি বদল করা হয়নি। আমার অফিসে যাঁরা কাজ করেন, তাঁদেরই ভুল এটা। এতই ব্যস্ত ছিলাম যে, সই করার সময় দেখার সুযোগ হয়নি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘যে চিঠি আপনারা দেখেছেন, তা ছিল ড্রাফ্ট। সেটা কোথাও পাঠানো হয়নি। সংশোধিত চিঠি লিখে আমার অফিসে রাখা হয়েছে। শিশুটির বাবা তাঁর সময় মতো এসে নিয়ে যাবেন।’’ তৃণমূল শিবিরের দাবি, চিঠিই লিখতে জানেন না বিজেপি বিধায়ক। তিনি কী ভাবে মানুষের সাহায্যে কাজে আসবেন? তৃণমূলের এই দাবিকে পাত্তা দিতে চাননি বিবেকানন্দ।
আরও পড়ুন: পৃথক রাজ্যের দাবিতে সোচ্চার তৃণমূলেরই আদিবাসী নেতা, অস্বস্তি জোড়া-ফুলে