World Bank sanctions loan for minor irrigation project in Bengal

World Bank: এবার বাংলাকে বিপুল ঋণ দেবে বিশ্বব্যাঙ্ক, পঞ্চায়েত ভোটের পরেই চুক্তি

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

বিরোধীরা যতই সমালোচনা করুক ইতিমধ্যেই বাংলার কৃষক ও কৃষিকে বাঁচাতে প্রকল্প নিয়ে এসেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। কৃষকবন্ধু প্রকল্পের মাধ্যমে উপকৃত হচ্ছেন বাংলার চাষীরা। ইতিমধ্যেই জুন মাসে যে বৃষ্টি হয়েছে সেটা চাষের জন্য ঘাটতি। এই আবহে অনাবৃষ্টির হাত থেকে বাংলার চাষকে বাঁচাতে বিশ্বব্যাঙ্ক ক্ষুদ্র সেচের পরিকাঠামো গড়ে তুলতে বিপুল পরিমাণ টাকা ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এমনকী দেড় হাজার কোটি টাকা ঋণ দিতে সম্মত হয়েছে বিশ্বব্যাঙ্ক। এই টাকা দিয়ে পাহাড় থেকে সুন্দরবন–সহ নানা এলাকার বৃষ্টি ও ভূগর্ভের জল সংরক্ষণ করা হবে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরই এই ঋণ নিয়ে রাজ্য–বিশ্বব্যাঙ্ক চুক্তি হবে বলে সূত্রের খবর।

স্যাটেলাইট চিত্রকে সামনে রেখেই এই প্রকল্পের রূপরেখা তৈরি করা হয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে, পশ্চিমাঞ্চলের ছ’টি জেলা পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূমের  একটা অংশ, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম মূলত খরা প্রবন। সেচের উপযুক্ত পরিকাঠামো নেই। প্রত্যন্ত এলাকায় অবস্থিত। ফলে জলের অভাবে এখানে অংশ এক ফসলি জমি হিসেবে চিহ্নিত।

আরও পড়ুন: Cyclonic Update: বঙ্গোপসাগরে ফুঁসছে ঘূর্ণাবর্ত! শনি-রবি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা!

এই সব এলাকায় চাষের সুযোগ বাড়াতেই বিশ্ব ব্যাঙ্ক আগ্রহী হয়েছে ঋণ দিতে। এছাড়াও সুন্দরবন ও পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি মহকুমায় চাষের বড় প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছে লবনাক্ত জল। দার্জিলিং ও কালিম্পংয়েও ঝোড়াগুলি সংস্কারের অভাবে জল ধারন ক্ষমতা হারিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে চাষ। এছাড়াও মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগনার মতো একাধিক জেলা রয়েছে যেখানে সেচের জলের অভাব নেই। সেখানে ওয়াটার ম্যানেজমেন্টের প্রয়োজন রয়েছে।

রাজ্যের সেচ ও জলসম্পদ অনুসন্ধান দফতরের আধিকারিকদের কথায়, পশ্চিমাঞ্চলের ছয় জেলায় মূলত পুকুর খনন করে বৃষ্টির জল সংরক্ষণ করা হবে। এছাড়াও যেখানে ভূগর্ভে জল পাওয়া যাবে সেখানে বিশেষ টিউবওয়েল বসিয়ে সেচের জলের ব্যবস্থা করা হবে। লবণাক্ত এলাকায় খাল কেটে মিষ্টি জলের ব্যবস্থা করা হবে সেচের জন্য। এ ছাড়া পাহাড়ে ঝোরাগুলি সংস্কার করা হবে। যাতে জলধারন করার ক্ষমতা বাড়ে। আগামী ছ’বছরে ধরে বিশ্বব্যাঙ্কের এই প্রকল্প চলবে। শুধু জলের ব্যবস্থাই নয়, কম জলে কীভাবে চাষ সম্ভব সেই প্রযুক্তির উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে চাষিদের। এক ফসলি জমিতে যাতে এই প্রক্রিয়া অবলম্বন করে একাধিক চাষের সুযোগ করে দেওয়া যায় তাও রয়েছে পরিকল্পনায়।

আরও পড়ুন: Panchayat Election : সবংয়ে বিজেপি নেতার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, নিশানা তৃণমূলের দিকে

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest