Gaza: Israeli ground troops face fierce resistance inside Gaza

Gaza: গাজায় তীব্র প্রতিরোধের মুখে ইসরায়েলি বাহিনী

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

ফিলিস্তিনের গাজার উত্তরাঞ্চলের বেশ কিছু জায়গায় ইসরায়েলি সৈন্যদের সঙ্গে তীব্র লড়াই হয়েছে বলে জানিয়েছে সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। ইসরায়েলি সেনারা ট্যাঙ্ক নিয়ে পরপর দু’দিন অনুপ্রবেশ করার পর ‘পূর্ণ শক্তি’ দিয়ে তাদের মোকাবিলা করেছে তারা।হামাসের সামরিক শাখা আল কাসাম ব্রিগেডস এ তথ্য দিয়েছে। সীমান্ত পেরিয়ে ইসরায়েলি সেনা ও ট্যাঙ্ক শুক্রবার অনুপ্রবেশ করলে উত্তর গাজার বেইত হানুন এবং মধ্য গাজার বুরেজের কাছে ভয়াবহ যুদ্ধ হয় বলে হামাসের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় শনিবার বলেছে, ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলের আগ্রাসনে অন্তত ৭ হাজার ৭০৩ জন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে সাড়ে ৩ হাজারের বেশি শিশু। হামলায় গাজার অন্তত ১১০ জন চিকিৎসাকর্মী নিহত ও শতাধিক আহত হয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৫০টি অ্যাম্বুলেন্স। এগুলোর অর্ধেকই এখন অকেজো। ইসরায়েল বলেছে, গাজায় টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়ার পরপর তারা উপত্যকায় স্থল অভিযান ‘সম্প্রসারণ’ করছে। অবরুদ্ধ ছিটমহলটি শুক্রবার সবচেয়ে ভয়াবহ বোমাবর্ষণের শিকার হয়। কিছুক্ষণ পরপরই সেখানে বড় ধরনের বিস্ফোরণ ঘটতে দেখা গেছে। ইসরায়েলি হামলায় গাজা ‘অগ্নিকুণ্ডে’ পরিণত হয় বলে উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন।

এদিকে, গাজা উপত্যকায় কিছু সৈন্য ঢুকেছে বলে মার্কিন গণমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসকে জানিয়েছেন ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র মেজর নির দিনার। তবে তিনি স্থল অভিযান শুরুর বিষয়টি নিশ্চিত করেননি। তিনি দাবি করেন, ইসরায়েলি সৈন্য এবং ট্যাঙ্ক গাজা উপত্যকার ভেতরে অবস্থান করছে এবং তারা যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। শনিবারও তাদের সৈন্য ও ট্যাঙ্ক গাজার ভেতরেই ছিল। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, বিমান হামলার পাশাপাশি পদাতিক, সাঁজোয়া, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং আর্টিলারি বাহিনী গাজা আক্রমণে অংশ নিচ্ছে।

এরই মধ্যে পশ্চিমা কূটনীতিকরা ইসরায়েলকে এখনই সর্বাত্মক হামলার দিকে দ্রুত অগ্রসর না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। যাতে লেবাননের হিজবুল্লাহ, ইরাক ও সিরিয়ার শিয়া মিলিশিয়া এবং ইয়েমেনের হুতি বাহিনী এই যুদ্ধে আরও ব্যাপকভাবে জড়িয়ে পড়ার সুযোগ না পায়। মধ্যপ্রাচ্যজুড়েই এখন যুদ্ধের লাল সংকেত দেখা যাচ্ছে। ইসরায়েলের সৈন্যদের সঙ্গে হিজবুল্লাহর প্রায় প্রতিদিনই সংঘর্ষ হচ্ছে। এ ছাড়া ইয়েমেন থেকেও শুক্রবার ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে।

এ পরিস্থিতিতে হামাসের হাতে জিম্মি ব্যক্তিদের মুক্তির বিষয়ে দু’পক্ষের মধ্যে আলোচনা বন্ধ হয়ে গেছে। তবে হামাসের সামরিক শাখা আল কাসাম ব্রিগেডসের মুখপাত্র আবু উবায়দাহ বলেছেন, ইসরায়েল যদি জিম্মি সংকটের সমাধান চায় তাহলে আমরা প্রস্তুত। ইসরায়েলের কারাগারে থাকা ৬ হাজার ফিলিস্তিনির মুক্তির বিনিময়ে তা হতে পারে। ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত হামাসের হাতে থাকা ৫০ জিম্মি নিহত হয়েছেন বলেও তিনি জানান। এদিকে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু গতকাল সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। তিনি বলেন, গাজায় সর্বাত্মক স্থল অভিযান শুরু হয়েছে। ইসরায়েলিদের ধৈর্য ধরতে হবে। ইসরায়েলি সেনারা ইতোমধ্যে গাজায় অপারেশন চালাচ্ছে। ইসরায়েলি মন্ত্রিসভা যুদ্ধের ব্যাপারে ঐক্যবদ্ধ। যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হবে। আমরা তাতে জিততে চলেছি। যুদ্ধবন্দিদের যে কোনোভাবেই মুক্ত করা হবে। গতকাল গাজার দক্ষিণাঞ্চল কামানের গোলা ও ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে কম্পমান ছিল। অবিরাম বিস্ফোরণে গাজার মাটি থরথর করে কাঁপছিল।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest