ওয়েব ডেস্ক: নববর্ষের শুভ দিনে এক অন্যরকম ভাবে উপস্থিত হলেন সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। সোনারপুরে লাঙ্গলবেড়িয়া গোবিন্দপুরে কাছে আনন্দ ঘর ফাউন্ডেশনে এর কিছু বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু এইচআইভি পজিটিভ শিশুদের মুখে আজকের দিনে হাসি ফোটানোর জন্য এগিয়ে এলেন সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। নববর্ষে মোট ১২০ জন ছোট্ট ছোট্ট শিশুদের জন্য জামা, কাপড় ও খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: আজ বিকেলেই মুক্তি পাচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর ভাবনায় তৈরী শর্টফিল্ম ‘ঝড় থেমে যাবে একদিন’
নববর্ষ মানেই নতুন জামা-জুতো। ভূরিভোজ। পারিবারিক আড্ডা। কিন্তু ওরা, যাঁদের কেউ নেই। কিংবা শরীর থেকেও পরের উপর নির্ভরশীল, পরিবার-স্বজনের থেকে দূরে, ওদের কাছে কিন্তু পয়লা বৈশাখের সংজ্ঞাটা আর পাঁচটা দিনের থেকে আলাদা কিছু নয়! কিন্তু কেনই বা বঞ্চিত থাকবে ওরা এই আনন্দ থেকে? ওরাও কেন আমাদের মতো নববর্ষ যাপনে শামিল হবে না, কেন ওদের ক্যালেন্ডারও রঙিন হবে না? সেই ভাবনা থেকেই সোনারপুর লাঙ্গলবেড়িয়ার গোবিন্দপুরের কাছে আনন্দ ঘর ফাউন্ডেশনের বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের জন্য নতুন জামা-কাপড় এবং পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে ভূড়িভোজের আয়োজন করছিল এদিন।
আরও পড়ুন: ‘গেন্দা ফুল’-এ ভাইরাল টিকটক স্টারের নাচ, মুগ্ধ বাদশা
লকডাউনের মাঝে কীভাবে তাঁদের মুখে হাসি ফোটানো যায়, সন্দিহান ছিলেন ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ। সেই সময়েই তাঁদের জন্য এগিয়ে এলেন সাংসদ মিমি চক্রবর্তী৷ মিমি তাঁর আপ্ত সহায়ক অনির্বান ভট্টাচার্যের মাধ্যমে শিশুদের হাতে তুলে দিলেন নতুন জামাকাপড়৷ পাশাপাশি তাদের খাবারের ব্যবস্থাও করেন তিনি৷ শুধু তাই নয়, ভিডিও কলে তাঁদের সঙ্গে কথাও বলেন। এই উদ্যোগ রাজনীতিক হিসেবে নয়, বরং ব্যক্তিগতভাবেই মানবিক দিক থেকে মিমি এই শিশুগুলির পাশে দাঁড়ালেন।
আরও পড়ুন: লকডাউনে আলাদা, আদরের ছবি পোস্ট করে সোহিনীকে কিসের বার্তা দিলেন রণজয়?
নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি এই কঠিন পরিস্থিতিতে হোমের প্রতিটি বাচ্চাকে সাবধানে থাকার পরামর্শও দেন সাংসদ-অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী৷ তাঁর এই উদ্যোগে পাশে পেয়েছেন বারুইপুরের পুলিশ সুপার রশিদ মুনির খানকেও৷ তিনি নিজে এদিন হোমে উপস্থিত ছিলেন৷ হোমের বাচ্চাদের সঙ্গে সময় কাটান৷ তাদের খাবার পরিবেশন করেন৷ পয়লা বৈশাখে নতুন জামাকাপড় পেয়ে খুশি হোমের প্রত্যেকেই৷
আরও পড়ুন: করোনার দিনে ভাগ্যশ্রীর চুমুর চিহ্ন মুছে দিলেন সলমন খান!