কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ, অসমে গণপ্রহারে মৃত চিকিৎসক, ধৃত ২১

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

জোরহাট: কর্তব্যে অবহেলার কারণে রোগী মৃত্যুর অভিযোগে গণপ্রহারে মৃত্যু হল ৭৩ বছরের এক চিকিৎসকের। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার অসমের জোরহাট জেলার টিওক চা বাগানে। ঘটনার দুদিন পর গ্রেপ্তার হল ২১ জন। একথা জানিয়েছেন জোরহাটের এসপি এনভি চন্দ্রকান্ত। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে তারা। অন্য দিকে, ঘটনার পরই নিরাপত্তার কারণে গোটা টি এস্টেটটিকে বন্ধ করে দিয়েছেন চা বাগান কর্তৃপক্ষ।

জানা গিয়েছে, দেবেন দত্ত নামে জোরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল বা জেএমসিএইচ–এর ওই আবাসিক চিকিৎসক অবসর নিলেও এক্সটেনশনে ছিলেন। সিনিয়র পুলিস অফিসার রশ্মি অপরাঞ্জি কোরাটি জানিয়েছেন, শনিবার দুপুরে সোম্রা মাঝি নামে ৩৩ বছরের এক চা শ্রমিক অসুস্থ হওয়ায় চা বাগানের মধ্যেই অবস্থিত জেএমসিএইচ–এ তাঁকে ভর্তি করা হয়। সেসময় হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন না দেবেন দত্ত। হাসপাতালের ফার্মাসিস্টও ছুটিতে ছিলেন। নার্স সোম্রার চিকিৎসা করলেও তিনি মারা যান। বিকেল ৩.‌৩০ মিনিট নাগাদ হাসপাতালে পৌঁছতেই কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে দেবেনকে বেধড়ক মারধর করতে থাকে মৃতের আত্মীয়–পরিজন এবং অন্য চা শ্রমিকরা। খবর পেয়ে বিকেল পাঁচটা নাগাদ পুলিস এবং সিআরপিএফ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে জেএমসিএইচ–এই ভর্তি করে। কিন্তু রাতের দিকে তাঁর মৃত্যু হয়। ঘটনায় ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। সাতদিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে হবে।

এভাবে গণপ্রহারে চিকিৎসকের মৃত্যুর প্রতিবাদে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন বা আইএমএ এবং অসম মেডিক্যাল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন বা এএমএসএ মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে ২৪ ঘণ্টা জরুরি পরিষেবা সহ সবরকম চিকিৎসা পরিষেবা বন্ধের ডাক দিয়েছে। রবিবার সন্ধ্যাতেই সাংবাদিক সম্মেলন করে একথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিবৃতি দিয়ে ঘটনার নিন্দা করেছে পশ্চিমবঙ্গ চিকিৎসক ফোরাম। টিওক চা বাগান নিরাপত্তার খাতিরে সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এলাকায় মোতায়েন ভারী সংখ্যায় পুলিস বাহিনী।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest