নয়াদিল্লি: এবার রাষ্ট্রপতি ভবনে করোনা আতঙ্ক। সেখানে কর্মরত এক ব্যক্তির স্ত্রীর শরীরে পাওয়া গিয়েছে মারণ কোভিড-১৯ ভাইরাস। সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে ভবন চত্বরে থাক প্রায় ১২৫ টি পরিবারকে সেলফ আইসোলেশনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সূত্রের খবর, ওই সাফাই কর্মীর পুত্রবধূর মা সম্প্রতি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তাঁর অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়ায় যোগ দিতে ওই সাফাই কর্মীর পরিবারের প্রত্যেকে সেই গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলেন। এরপর গত সপ্তাহে ওই সাফাইকর্মীর পরিবারের সদস্যদের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। সোমবার সেই নমুনা পরীক্ষার রেজাল্ট আসে। তাতে ওই ব্যক্তির পুত্রবধূর দেহে করোনাভাইরাসের হদিস মেলে। এরপর পরিবারের আর কোনও সদস্যের দেহে করোনাভাইরাসের হদিস না মিললেও তাদের প্রত্যেককেই আইসোলেশন পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। শুরু হয় কমপ্লেক্সের স্যানিটাইজেশনের কাজও।খোদ রাষ্ট্রপতি ভবনের কমপ্লেক্সের বাসিন্দাদের এমন উদাসীন আচরণ ঘিরে উঠছে প্রশ্ন।
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৪৭, মৃত বেড়ে ৫৯০! ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়াল ১৮ হাজার
ওই কমপ্লেক্সে মোট ১২৫টি কোয়ার্টার আছে। সেই কোয়ার্টারগুলির প্রতিটি পরিবারকে সেল্ফ আইসোলেশন এ থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিশেষত ওই পরিবারের কোয়ার্টারের সংলগ্ন ২৫টি পরিবারের বাসিন্দাদের কড়া নজরদারিতে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। বাকি পরিবারগুলিকে অত্যন্ত জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কমপ্লেক্সের বাইরে বের হতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
করোনাভাইরাসে মৃত্যু হলে যেখানে শেষকৃত্যেও পরিবারকে থাকতে দেওয়ার নিয়ম নেই, সেখানে কীভাবে গ্রামের বাড়িতে আত্মীয়দের নিয়ে অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়ার আয়োজন করা হল তাই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। সেই অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়ায় আর কারা যোগদান করেছিলেন তার খোঁজ চালাচ্ছে প্রশাসন।
দিল্লিতে নিত্যদিন বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এই অবস্থায় রবিবার মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানান, আগামী ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত কোনওরকমভাবে লকডাউন শিথিল করা হবে না। তাতেও অবশ্য নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা লাগাম পড়ছে না। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, মঙ্গলবার সকাল আটটা পর্যন্ত দিল্লিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যয়া বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২,০৮১। যা দেশে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। মৃত্যু হয়েছে ৪৭ জনের। সেরে উঠেছেন ৪৩১ জন।
আরও পড়ুন: পালঘর সাধু হত্যা কাণ্ডে সাম্প্রদায়িক রং দেবার চেষ্টা, খারিজ করলেন উদ্ধব